ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

সৌদি ভিজিট ভিসার ফি কমছে

প্রকাশিত : ১৬:৩০, ৩১ মে ২০১৯ | আপডেট: ২০:৫৫, ৩১ মে ২০১৯

বাংলাদেশীদের জন্য ভিজিট ভিসা দু’হাজার টাকা থেকে কমিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার উদ্যেগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ কমিউনিটি জেদ্দা কতৃক আয়োজিত মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মানে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, পাকিস্তান সরকারের অনুরোধে সৌদি সরকার পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ২০০ রিয়ালে ভিজিট ভিসা দিচ্ছেন । আমাদের  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আসার পর ভিজিট ভিসা নিয়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন যাতে করে ভিজিট ভিসা ফি কমিয়ে আনা হয়।

তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসা প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধে বিমানবন্দরে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এই কাজ শুরু হয়ে গেছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটর করা হবে।"

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধে, দুতাবাস ও কনস্যুলেটের সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে ‘দূতাবাস অ্যাপ’ চালু করা হচ্ছে। দূতাবাস অ্যাপের মাধ্যমে প্রত্যেকটা নাগরিককে ডিজিটাল সেবার আওতায় আনা হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে বৈধ আবেদন করলে  কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে।

তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দূতাবাস ও কনস্যুলেটে সেবা নিতে আসা অসংখ্য প্রবাসী ভিড়ের কারণে অপেক্ষা করতে হয় প্রবাসীদের এই অপেক্ষা লাঘব করতে আমরা দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে ব্লাক বক্স পাঠিয়েছি যাতে করে ওয়েটিং রুমে বসে অপেক্ষামান প্রবাসীরা বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো দেখতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, ‘একসময় বাংলাদেশ দরিদ্রপীড়িত ছিল। কিন্তু, আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিতে বাংলাদেশে এখন বাম্পার ফলন হচ্ছে। যার ফলে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয় আগের চেয়ে তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য বেশ কয়েকটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। তিনি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে দেখতে চান। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। এগুলো অর্জন করতে অনেক পরিশ্রম করতে হবে"।

এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুটি নীতি প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরমধ্যে একটি হচ্ছে, ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি (অর্থনৈতিক কূটনীতি)। যার মাধ্যমে রূপরেখা অর্জনে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ, প্রযুক্তি সহায়তা নেওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, বন্ধুপ্রতীম দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য যোগাযোগ বৃদ্ধি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এলক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে আগামী তিন বছরের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেসব দেশ থেকে কী ধরণের সুযোগ-সুবিধা ও বাণিজ্য বিনিয়োগ করা যায় তার তালিকা তৈরি করতে তাদেরকে বলা হয়েছে এবং এর সুফল আমরা পাচ্ছি।

বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এফ এম বোরহান উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও কাউন্সিলর সালাউদ্দিন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশর রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ্। অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের জেদ্দা তাইয়েফ, মদিনা থেকে আগত আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী, বিভিন্ন কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

কেআই/

 

 

 

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি