অক্টোবরে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় মিয়ানমার
প্রকাশিত : ১০:৪২, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ফের রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলো মিয়ানমার। রাজধানী নেপিদোতে সফররত বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে মিয়ানমার জানায়, ডিসেম্বর নাগাদ ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেবে তারা। তবে মৌখিকভাবে দেয়া এ প্রতিশ্রুতি নিয়ে সন্দিহান বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক চাপ পাশ কাটাতেই এই কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৩টি শরণার্থী শিবিরে নতুন ও পুরনো মিলিয়ে বর্তমানে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বসবাস।
দীর্ঘ ৬ বছর ধরে এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার ভরণ-পোষণ করে আসছে বাংলাদেশ সরকার। এদের ফিরিয়ে নিতে বার বার চেষ্টা চালালেও মিয়ানমারের নানা টালবাহানায় তা ভেস্তে যাচ্ছে।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চুক্তি হয়। এরপর দু’দফায় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার দিনক্ষণ ঠিক হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। কয়েক বছরের জন্য থমকে থাকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া।
নতুন করে চলতি বছর চীনের মধ্যস্থতায় আবারও শুরু হয় আলোচনা। সম্প্রতি নেপিদোতে সফররত বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জান্তা সরকারের বৈঠকে ফের রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি। জানায়, প্রতিদিন ১শ’ জন করে ডিসেম্বর নাগাদ ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেবে তারা।
মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কো কো হ্লাইং জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য ২০টি নতুন গ্রাম নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছেন। এরইমধ্যে ১ হাজার বাড়ির জন্য প্লটও খালি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় আগামী মাসেই প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় মিয়ানমার। তবে মৌখিক এই প্রতিশ্রুতি আদৌ বাস্তবায়ন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষক ও রোহিঙ্গারা।
তারা বলছেন, আসিয়ান সম্মেলন শুরু হওয়ার পর আন্তর্জাতিক চাপ কাটাতেই এমন কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন সংস্থার তথ্য মতে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৮ লাখের বেশি পরিবার-ভিত্তিক রোহিঙ্গার তালিকা দিলেও মিয়ানমার ১ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা চূড়ান্ত করে, এরমধ্যে মাত্র ২০ হাজার ফিরে যেতে রাজি।
এএইচ