অগ্নিপরীক্ষায় ব্রাজিল-বেলজিয়াম
প্রকাশিত : ০০:০৪, ৭ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ০০:০৫, ৭ জুলাই ২০১৮
রাশিয়া বিশ্বকাপে সোনালি ট্রফিটা নিজেদের করে নিতে কোয়ার্টার ফাইনালে অগ্নিপরীক্ষায় ব্রাজিল ও বেলজিয়াম। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় তাদের খেলা শুরু হয়।
এক দল হটফেভারিট হয়ে রাশিয়ায় পা রেখেছিল, আরেক দল তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে আদায় করেছে ফেভারিটের মর্যাদা। রাশিয়া বিশ্বকাপের সবচেয়ে ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ কোয়ার্টার ফাইনাল মঞ্চস্থ করতে প্রস্তুত কাজান অ্যারেনা।
এদিকে উভয় দলই বিশ্বকাপের সোনালি ট্রপিটা নিজেদের করে নেওয়ার জন্য পাগলপারা হয়ে রয়েছেন। আর এ জন্য তাদেরকে আরও দুইটা ধাপ পার হতে হবে।
তবে খেলা শেষে বলে দেওয়া যাবে ট্রফি জয়ের দৌঁড়ে কে এগিয়ে থাকবে।
অতীত পরিসংখ্যান থেকে ব্রাজিলকেই এগিয়ে রাখছেন সবাই। অন্যদিকে ইতিহাস গড়তে মুখিয়ে আছে বেলজিয়াম। এবারের বিশ্বকাপে তারা চমক দেখিয়ে যাচ্ছে।
বেলজিয়ামের বিপক্ষে আগের চারবারের দেখায় সেলেসাওরা হেরেছে কেবল একবার, জিতেছে বাকি সবগুলো। বিশ্বকাপে খুব বেশি দেখা হয়নি দুই দলের, এনিয়ে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হচ্ছে তারা।
২০০২ সালের বিশ্বকাপে লুই ফিলিপে স্কলারির ব্রাজিল কোবেতে ২-০ গোলে জিতেছিল। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করেছিলেন রোনালদো ও রিভালদো।
শেষ ষোলোর ওই ম্যাচে বেলজিয়ামের আক্রমণভাগের সামনে বেশ কয়েকবার পরীক্ষা দিতে হয়েছিল গোলরক্ষক দিদাকে। শেষ পর্যন্ত গোলপোস্ট অক্ষত রেখেছিলেন তিনি।
তারপর ৬৭ মিনিটে ডিবক্সের প্রান্ত থেকে গোল করে ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন রিভালদো। তিন মিনিট বাকি থাকতে নিখুঁত ফিনিশে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন রোনালদো। তারপর ইংল্যান্ড, তুরস্ক ও জার্মানিকে হারিয়ে পঞ্চম ও শেষ শিরোপা জেতে দলটি।
প্রথমবারের মতো ১৯৬৩ সালে ব্রাজিল ও বেলজিয়াম মুখোমুখি হয়েছিল। তখনকার দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল গিয়েছিল ব্রাসেলসে, স্বাগতিকদের কাছে তারা হারে ৫-১ গোলে। তার তিন দিন আগে পর্তুগালের সঙ্গে ম্যাচ খেলে ক্লান্ত পেলে হননি দলের সফরসঙ্গী। প্রীতি ম্যাচ হলেও ব্রাজিলের এই হার হয়েছিল সমালোচিত।
অবশ্য দু্ই বছর পর সেই হারের প্রতিশোধ ব্রাজিল নিয়েছিল মারাকানায়। পেলের হ্যাটট্রিকে ৫-০ গোলে বেলজিয়ানদের উড়িয়ে দিয়েছিল তারা।
তারা আর একবার মুখোমুখি হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। জিওভানির জোড়া গোলে অ্যান্টওয়ার্পে ২-১ গোলে বেলজিয়ামকে হারায় ব্রাজিল।
এমএইচ/এসি