ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অজ্ঞতা, কুসংস্কার আর অসচেতনতার কারণে যক্ষা আক্রান্তদের শতভাগ চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি

প্রকাশিত : ১৫:২৪, ২৪ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৮:৪৫, ২৪ মার্চ ২০১৬

অজ্ঞতা, কুসংস্কার আর অসচেতনতার কারণে যক্ষা আক্রান্তদের শতভাগ চিকিৎসা সেবার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। আর এ’জন্য যক্ষা নিয়ন্ত্রণে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বস্তিতে বসবাসরত লোকদের যক্ষামুক্ত করতে পারলে বাংলাদেশ লক্ষ্য পূরণে অনেকটা এগিয়ে যাবে। এমন বাস্তবাতায় আজ দেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষা দিবস। tbসুমন, বয়স ১৬। অচেনা মানুষ দেখলে ফ্যাল-ফ্যাল তাকিয়ে থাকে। যে বয়সে তার পড়ালেখা ও খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা সেই বয়সে অসহ্য যন্ত্রনা বুকে কাতরাচ্ছে জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের বিছানায়। শুধু সুমন নয়, চিকিৎসা নিতে অসংখ্য রোগি রয়েছেন এই হাসপাতালে। যক্ষ্মা বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকলোসিস নামক জীবাণুর মাধ্যমে এটি ছড়ায়। সারাদেশে এখন প্রতি লাখে ৪০২ জন রোগী যক্ষায় আক্রান্ত। আর আক্রান্তদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ রোগীকে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনা হয়েছে। যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচীতে সঠিক নেতৃত্বের অভাব ও কর্মকর্তাদের অদক্ষতায় আক্রান্তদের সবাইকে চিকিৎসা সেবার আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবুও আশার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যক্ষার প্রাদুর্ভাব গ্রামের তুলনায় শহরে অনেক বেশি। এ ক্ষেত্রে বস্তিবাসীদের সচেতন করতে পারলে ব্যাপকতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যক্ষা এখন আর মরণব্যাধি নয়। একটু সচেতন হলে এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব- এমন আশা সংশ্লিষ্টদের।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি