অঞ্জনদার সাত খুন মাফ: পার্নো
প্রকাশিত : ১৪:৫৮, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৫:০৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
অঞ্জন দত্ত সিনেমা নির্মাতা, তারচেয়েও বেশি গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। শহুরে বাঙালি মানেই অঞ্জনের গানে বুঁদ। কি কলকাতা, কি ঢাকা বা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তেই অঞ্জন দত্ত মানে একটি অনুভূতি। এবার অঞ্জন দত্তকে নিয়ে নিজের অনুভূতি শেয়ার করলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় অভিনেত্রী পার্নো মিত্র।
১৯ জানুয়ারি অঞ্জন দত্তের জন্মদিন। কলকতার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে পার্নো বলেন, কোনও দিন খুঁটিয়ে যে উনাকে দেখেছি বা ভাবার চেষ্টা করেছি, তা নয়। উনার খামখেয়ালিপনা, এলোমেলো ভাব— এ সব নিয়েই অঞ্জন দত্ত। কুল অ্যান্ড ক্যাজুয়াল।
তিনি আরও বলেন, অঞ্জন-দা খুব খামখেয়ালি, হয়তো ন’মাসে- ছ’মাসে যোগাযোগ করে, তবু অঞ্জনদার সাত খুন মাফ।
সাক্ষাতকারে পার্নো জানান, অঞ্জন দত্তের মধ্যে অনেক ভাল-মন্দের সমাহার। অবশ্যই ভালর ভাগ বেশি। আমি একা নই, এ কথা উনার সঙ্গে যারা মিশেছেন তারাও বলবেন। উনার সঙ্গে যখন প্রথম মেলামেশা, তখন আমি মাত্র ১৬! দু’জনেরই বয়সের বিরাট ব্যবধান। তখন মানুষ চেনার মতো বয়স নয়। মেশার সময় তাই অত খুঁটিয়ে চেনার চেষ্টাও করিনি। কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করেছি, অঞ্জনদা সকলের সঙ্গে সমান ভাবে মিশতে পারেন। কী সত্তর, কী ষোল, কী মাঝবয়সি— অঞ্জন দত্ত সকলের সঙ্গে ‘কুল অ্যান্ড ক্যাজ়ুয়াল’।
সাক্ষাতকারে পার্নোর দিকে প্রশ্ন আসে, অঞ্জনদার প্রচুর অভিজ্ঞতা, প্রগাঢ় মেধা। সেই কারণেই কি চট করে সকলের সঙ্গে মিশতে পারেন?
উত্তরে পার্নো বলেন, একেবারেই না। কোথাও গিয়ে অঞ্জনদা খুবই জলবৎ তরলং। তার জন্যই উনার সঙ্গে যে কোনও মানুষের সময় কাটাতে ভাল লাগে। পরিচালক-অভিনেতা-গায়ক— এক মানুষের একাধিক সত্তা। তার উপরে খামখেয়ালি, মেজাজি, এলোমেলো। আমার সঙ্গে এখন তার ন’মাসে ছ’মাসে কথা হয়। তার পরেও যে দিন ফোন করেন, সে দিন একবারের জন্যও মনে হয় না, কত দিন পরে কথা হল! সম্প্রতি অঞ্জনদা সপরিবার বাড়িতে বসে প্রতিম ডি গুপ্তর ‘সাহেব বিবি গোলাম’ ছবিটি দেখলেন। দেখেই আমায় ফোন, ‘কী দুরন্ত অভিনয় করেছিস রে! আমি, ছেলে, বৌমা— সবাই মিলে বসে আবার দেখলাম।’ এই-ই হচ্ছেন অঞ্জন দত্ত। উনার মধ্যে একটা ব্যাপার আছে। যেটা উনাকেই শুধু মানায়।
পার্নো আরও বলেন, আরও অনেক গুণ আছে উনার । অঞ্জনদার গান ভাল লাগে। আর ভাল লাগে উনার প্রতিভা খুঁজে বের করার ক্ষমতা। যত জন উনার হাত থেকে বেরিয়েছেন, প্রত্যেকেই বিনোদন দুনিয়ায় চর্চিত নাম। যেমন, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, আবীর চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়— উনার ছবি দিয়ে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেছেন। যেটা সচরাচর অনেক পরিচালকের মধ্যে দেখা যায় না। এই জন্যই আমার কাছে পরিচালক অঞ্জন দত্ত এগিয়ে। অনেক দিন উনার সঙ্গে কাজ করিনি। আবারও অঞ্জনদার সঙ্গে কাজ করতে মন চায়। উনাকে ঘিরে একটাই আফসোস, যে মাপের অভিনেতা তাতে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বেশি কাজ করার কথা ছিল উনার। কেন হল না, কে জানে?
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
এসএস//