অতিরিক্ত ঘামলে কী হয়?
প্রকাশিত : ০৮:৩৪, ১১ এপ্রিল ২০১৯
গরমে ঘাম হবে স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত ঘামও অসুস্থতার লক্ষণ। আর গরম ছাড়াই যদি আপনি ঘামেন তাহলেও তা কিন্তু বড়সড় রোগের ইঙ্গিত। খেয়াল করবেন মুখের থেকে হাতের তালু এবং পায়ের পাতায় ঘাম বেশি হয়। একে হাইপার হাইড্রোসিস বলে। স্বাভাবিক মাত্রায় ঘাম কোনো অসুখ নয়। ঘামের সঙ্গে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। আর ঘাম হলে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও লবণও বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের তাপমাত্রা নেমে যায়।
যে কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়
কেউ অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে, নার্ভাস হলে কিংবা রোদে গেলে অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। পরীক্ষার সময় অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেও বেশি ঘাম হতে পারে। মশলাযুক্ত বা ঝাল বা তৈলাক্ত খাবার অতিরিক্ত খেলেও বেশি ঘাম হতে পারে।
আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন- এসপ্যারাগাস, ব্রকোলি, পেঁয়াজ, খাবারে অতিরিক্ত লবণ খেলেও ঘাম বেশি হতে পারে। শারীরিক দুর্বলতা থেকেও ঘাম বেশি হয়। পাউডার ব্যবহার থেকেও ঘাম দূর করার পরিবর্তে তা আরও বাড়িয়ে দেয়। অতিরিক্ত ধুমপানও ঘামের কারণ।
অতিরিক্ত ঘামলে যা করবেন
ঘামের সঙ্গে যেহেতু সোডিয়াম, পটাশিয়াম, বাইকার্র্বোনেট বেরিয়ে শরীর দুর্বল ও অস্থির হয়ে যায় তাই পানির সঙ্গে লবণ, চিনি, পাতিলেবু মিশিয়ে শরবত খেলে ভালো হয়। গরমে দইয়ের ঘোল ও ডাব খেতে পারেন।
কোল্ড ড্রিংকসের পরিবর্তে ফ্রেশ ফ্রুট জুস ও টাটকা ফল খান। ভিটামিন বি-১২-এর অভাবে যেহেতু হাইপারহাইড্রোসিস হয় তাই বি-কমপ্লেক্স যুক্ত খাবার খান।
তবে একবার রক্ত পরীক্ষা করেও দেখে নিন, থাইরয়েড থাবা বসিয়েছে কি না।
সূত্র: এই সময়
একে//