অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সহায়তা চায় বায়িং হাউজগুলো
প্রকাশিত : ১৭:৪৮, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯
পণ্য বিপণনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার চায় বাংলাদের গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন। এ জন্য সংগঠনটি সরকারের সহায়তা কামনা করেছে। শনিবার রাজধানীর বনানীতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসেন সরকারের কাছে এ সহায়তা চান।
বস্ত্র আইন-২০১৮ প্রণয়নের মধ্য দিয়ে বায়িং হাউজগুলোকে অন্তর্ভূক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানানো হয়। পোশাক শিল্পের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কাজী ইফতেখার হোসেন বলেন, প্রযুক্তির দিক থেকে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এ জন্য আমাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার করে আমাজন, আলী বাবার মতো প্রতিষ্ঠান সারা বিশ্বে পণ্য বিপণন করছে। তারা বাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে। আমাদেরও এভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এগিয়ে যেতে হবে। না হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে আমরা পিছিয়ে যাব।
যোগ্য কর্মীর অভাবে বিপুল অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে টেক্সটাইল পড়ে একটা ছেলে ন্যূনতম বেতন নিয়ে চাকরি করে। তারা কাজ করতে পারে না বা বোঝে না। এজন্য দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভারত, শ্রীলঙ্কার মতো দেশের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। বিদেশ থেকে বেশি বেতনে কর্মী আনতে হয়। অথচ আমাদের ছেলেরা স্কিলড হলে তারাই এই টাকা দেশে রাখতে পারত।
বিজিবিএর পক্ষ থেকে জানানো হয়, বস্ত্র আইন-২০১৮ প্রণয়নের মধ্য দিয়ে বায়িং হাউজসহ পোশাক খাতের সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আসছে। এখন থেকে প্রতিটি বায়িং হাউজকে মন্ত্রণালয় থেকে নিবন্ধন নিতে হবে। ফলে সবাই জবাবদিহিতার আওতায় থাকবে।
সংগঠন থেকে আরো জানানো হয়, তাদের নিবন্ধিত ৫০০ বায়িং হাউজ রয়েছে। এ ছাড়া, দেশের ১৪৪টি বায়িং হাউজ নিবন্ধনের জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। ৪৪ টি বায়িং হাউজকে সরকার অনুমোদন দিয়েছে।
সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ) ২০০২ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৬ সালে সংগঠনটি বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের নিবন্ধন প্রাপ্ত হয়। ২০০৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এ ব্যবসার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিজিবিএ ভূমিকা রাখে। এছাড়া এ ব্যবসাকে শৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য বিজিবিএ বারবার সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রনালয়ের কাছে কার্যকর নীতিমালা তৈরি করার জন্য অনুরোধ করে আসছে।
প্রধানমন্ত্রী বস্ত্র আইন ২০১৮ তে এ বিপণন ব্যবসাটিকে অন্তর্ভূক্ত করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে মহাপরিচালক, বস্ত্র অধিদপ্তর এ ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিবন্ধন প্রদান করছেন। এতে করে যারা নিরবিচ্ছিন্নভাবে এ ব্যবসা করেছিলেন তাদেরকে একটি শৃঙ্খলার কাঠামোতে আনায়ন করা সম্ভব হয়েছে বলে আমরা মনে করি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. হারুন উর রশিদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন