অনেক কাজে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি: ভিপি নুর
প্রকাশিত : ২২:৩৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ০০:২১, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
দেশের সেকেন্ড পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। দীর্ঘ ২৮ বছর পর চলতি বছরের ১১ মার্চ ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে ৬ মাস। এরপরও যেন হতাশা কাটেনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। তবে শিক্ষার্থীর মধ্যে ডাকসু নিয়ে প্রত্যাশার কমতি নেই। অনেকে মনে করেছিলেন তাদের দ্বারা নির্বাচিত প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবেন। তবে এমন প্রত্যাশা পূরণের ধারে কাছে পৌঁছাতে পারেননি ডাকসুর প্রতিনিধিরা।
এসব নিয়ে সম্প্রতি একুশে টেলিভিশন অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর। সাক্ষাতকার নিয়েছেন একুশে টেলেভিশন অনলাইনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সিনজাত রহমান সানি।
একুশে টেলিভিশন: গত ছয় মাসে ডাকসুর দৃশ্যমান অগ্রগতি কতটুকু?
ভিপি নুর: ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সারা দেশের মানুষসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটা আগ্রহ ছিল কিন্তু শুরুতেই এই আশাটা হতাশায় পরিণত হয়ছে। প্রশাসনের প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার কারণে একটি বিতর্কিত নির্বাচন হয়ছে। শিক্ষার্থীরা আশা করেছিল যারা প্রতিনিধি হয়ে আসবেন তারা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব করবেন। কিন্তু মোটা দাগে ছাত্রদের যে সমস্যাগুলো ছিল বিশেষ করে জোর করে মিছিল-মিটিং এ নিয়ে যাওয়া, ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের আনুগত্য ছাড়া হলে সিট না পাওয়া, প্রসাশন কর্তৃক সিট না দেওয়া, গেস্টরুমের নামে মানসিকভাবে হেয়পতিপন্ন করা, এগুলো পরিবর্তন হয়নি।
আমরা এ বিষয়ে খুব একটা সফল হয়নি। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা কাজ করেছি। যেমন ক্রীড়া সম্পাদক কিছু প্রোগ্রামের আয়োজন করেছেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বেশ কিছু কাজ করেছেন।
একুশে টেলিভিশন: সংগঠন পরিচালনায় কোনো বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন কিনা?
ভিপি নুর: আমরা অনেক কাজের উদ্যোগ নিয়েছি কিন্তু ছাত্রলীগ সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রশাসনও সেভাবে সহযোগিতা করছে না। সাইবার সিকিউরিটি এওয়্যারনেস প্রোগ্রাম করার জন্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এক লাখ টাকার ব্যবস্থা করে দিলেও ছাত্রলীগের বাধার কারণে সে গ্রোগ্রাম করা যায়নি। অতিথিদেরকে অনুষ্ঠানে আসতে বারণ করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। তারা মনে করেন এ ধরনের গ্রোগ্রাম করলে আমাদের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যাবে।
একুশে টেলিভিশন: আগামী ছয় মাসের কর্ম পরিকল্পনা কি?
ভিপি নুর: মানুষের মৌলিক চাহিদার পরে অন্য চিন্তা-ভাবনা, ডাকসু নিয়ে তাদের মধ্যে যে আশার সঞ্চার হয়ছিল যেমন গেস্টরুম, গণরুমের অপসংস্কৃতি চলছে তা বন্ধ করতে পারিনি, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে তা বন্ধের চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন বিভাগে যে বর্ধিত ফি নেওয়া হতো তার সমাধান করতে পেরেছি। সামনের দিনগুলোতে যদি এ ধরনের অভিযোগ পাই তাহলে সমাধানের চেষ্টা করবো। আমরা ডাকসু থেকে বিভিন্ন কাজে চাপ প্রয়োগ করতে পারি, আমি গণভবনে গিয়েছিলাম।
আগামীতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেক’এ বড় একটা প্রকল্প উঠবে এবং বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। প্রকল্পে হল, একাডেমিক ভবনসহ ডাকসু'র উন্নয়নের কথা আছে সেটা হলে কিছুটা কাজ হবে। যারা আর্থিকভাবে অসচ্ছল রয়েছেন তাদের জন্য একটা ফান্ড গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
একুশে টেলিভিশন: ডাকসুর তফসিল ঘোষণার পর ৩৪ জন ছাত্রলীগ নেতা ভর্তি হয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে কি বলবেন?
ভিপি নুর: বর্তমান দলকানা প্রশাসন বারবারই ছাত্রলীগকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছে, যারা নানান ধরনের অনিয়ম করে আসছেন। এর একটি প্রমাণ আমরা ডাকসু নির্বাচনের ছয় মাস পর স্পষ্টভাবে দেখতে পেলাম। তাদের ৩৪ জন নেতা-কর্মীকে ডাকসু নির্বাচনের আগে অবৈধভাবে ভর্তি করানো হয়েছে। যাদের মধ্যে ৭ জন ডাকসুতে, ১ জন হল সংসদে।
আমি মনে করি, অনৈতিকভাবে যাদেরকে ভর্তি করানো হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এ আট জনকে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইতুল ইসলসামের পদত্যাগ দাবি জানিয়ে উপাচার্যের প্রতি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।উপাচার্য যদি এর সাথে জড়িত থাকেন তাহলে অবশ্যই তার পদত্যাগ দাবি করছি, তিনি (উপাচার্য) এর সঙ্গে জড়িত নন। আমাদের কাছে উপাচার্যের বিষয়ে উপযুক্ত প্রমাণও নেই, কিন্তু ডিনের বিষয়টা পরিষ্কার, তাই ডিনের পদত্যাগ দাবি করছি।
একুশে টেলিভিশন: শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট কেন নিরসন হচ্ছে না?
ভিপি নুর: নতুন ভবন নির্মাণ করার কথা কিংবা গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির কথা, শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সুবিধা, শিক্ষকদের পদায়নের ক্ষেত্রে অনিয়ম করা হয়, সেগুলো বন্ধ করার জন্য সিনেট ও বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা করেছি। প্রতিনিধি হিসাবে সুযোগ পেয়েছিলাম তাই করতে পেরেছি।
একুশে টেলিভিশন: ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের দ্বারা নানাভাবে হামলার শিকার হয়েছেন বলে আপনার অভিযোগের বিষয়ে কি বলবেন?
ভিপি নুর: আমরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় থেকেই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন কর্তৃক হামলার শিকার হয়েছি। এমনকি আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় আমরা তাদের হামলার শিকার হয়েছি। ভিপি নির্বাচিত হওয়ার পরেও চারবার হামলার শিকার হয়েছি। এর পিছনে একটি কারণ রয়েছে, তারা দেখছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে একটি আস্থার প্রতীক এবং একটি জনপ্রিয় সংগঠন হয়ে উঠছে।
ছাত্র রাজনীতির নামে যে লেজুরবৃত্তিক বা অপরাজনীতি চলে এর বাহিরে একটি পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতি দাঁড় করাতে চাই। যেখানে ছাত্ররা তাদের সুবিধা-অসুবিধা কিংবা অধিকার নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি সমাজ-রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজনীয় কথা বলবে। কারণ ছাত্ররা তো এই সমাজ-রাষ্ট্রের একটা অংশ। আমরা যেন এগিয়ে যেতে না পারি সে জন্যই পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা এত হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন নিপীড়নের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি এবং ইনশাল্লাহ আমরা সামনের দিনগুলোতে হামলা-মামলা মোকাবেলা করে এগিয়ে যাব।
একুশে টেলিভিশন: আপনার প্যানেল থেকে ডাকসুতে মাত্র দুই জন নির্বাচিত হয়েছেন এতে কাজের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা?
ভিপি নুর: স্বাভাবিকভাবে ২৩ জন যেহেতু আছেন সেখানে তাদেরই এটা দায়িত্ব যে, সংখ্যালঘু দুজনের সাথে সমন্বয় করা। তারাই কিন্তু কোন ধরনের বিশেষ কাজে আমাদেরকে যুক্ত করতে চান না। ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিতরা ডাকসু নিয়ে যতটা না কাজ করে তার চেয়ে বেশি নিজের দলের হয়ে কাজ করেন। সংগঠনে কাজ করবেন তবে ডাকসুতে যারা আছেন তাদের তো ডাকসু নিয়ে কাজ করার উচিত। ভর্তি পরীক্ষায় সহায়তার বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নানা কার্মকাণ্ড হাতে নিয়েছেন কিন্তু ডকসুর পক্ষ থেকেও আমরা কিছু করতে পারতাম। ডাকসুর সমাজ সেবা সম্পাদক নিজ উদ্দ্যোগে ভর্তি সহায়তা কার্যক্রমসহ বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছেন ।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নিজস্ব নজরদারি ও ভর্তির জালিয়াতি ঠেকানোর জন্য বিশেষ কিছু টিম কাজ করছে।
একুশে টেলিভিশন: সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে যে, শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী আবাসিক সুবিধা থাকলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা নেই সে বিষয়ে কি বলবেন?
ভিপি নুর: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকেন তারা আসলে রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে স্ব স্ব পদে নিয়োগ পান। সে কারণে শিক্ষার্থী কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে নিজেদের আত্মকেন্দ্রিক বা নিজেদের স্বার্থ কেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা তাদেরকে সব সময় আচ্ছন্ন রাখে। এতে ছাত্রদের বিষয়গুলো নিয়ে আমরা যেভাবে ভাবি তারা সেই ভাবে ভাবেন না।
শিক্ষার্থীরা গেস্টরুমে নির্যাতিত হন, প্রশাসনিক দায়িত্বে যারা আছেন তারা এর প্রতিকারের জন্য কোন ধরনের উদ্যোগ নেননি বরং তারা কিভাবে আরও সুবিধা পেতে পারেন তা নিয়ে কাজ করছেন। শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে নেতারা আন্দোলন করতে পারেন অথচ ছাত্ররা তাদের অধিকার দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করলে তারা সেটার বিপক্ষে স্টেটমেন্ট দেন। যেহেতু তারা সরকার দলের লোক তাই সরকারকে খুশি করার জন্যই কথা বলেন।
যখন কোটা সংস্কারের আন্দোলোন হয় তখন একজন উপাচার্য নিজ ছাত্রদেরকে জঙ্গিদের সাথে তুলনা করে বক্তব্য দিয়েছেন। কতটা ব্যক্তিত্বহীন হলে একজন ব্যক্তি এমনভাবে কথা বলতে পারেন। সরকার কোটা সংস্কারের বিষয়টি মেনে নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে জয় লাভ করেছেন।
এ ধরনের প্রশাসন যারা চালাচ্ছেন তাদের কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের ভাবনা কতটুকু আর ফুটে উঠবে। এসব কারণে শিক্ষার্থীদের হল সমস্যার সমাধান বা অবকাঠামোর উন্নয়ন হচ্ছে না। আমরা দেখেছি শিক্ষক ,কর্মচারীদের জন্য নতুন ভবন তৈরি হয় অথচ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য হচ্ছে না। তারপরও নতুন প্রকল্পে হলের কথা উল্লেখ রয়েছে। আমরাও আমাদের জায়গা থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্চি।
একুশে টেলিভিশন: এই ৬ মাসে যে যে কাজ করতে চেয়েছিলেন তা কতটুকু শেষ করতে পরেছেন?
ভিপি নুর: আপনি যখন একটা কাজ করতে যাবেন তখন বাধা প্রাপ্ত হলে নিরুৎসাহিত হবেন। আমরা কাজ করতে গিয়ে সেই পরিস্থিতি মোকাবেল করেছি। আমি এসএম হলে অছাত্রদের উচ্ছেদ অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হলাম। সাইবার সিকিউরিটির প্রোগ্রামটা করতে দিলো না। আমরা কৌশল পরিবর্তন করছি যে, কিভাবে কাজ করতে পারি। আর কতটুকু করতে পেরেছি এবং সীমাবদ্ধতা বা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা শিক্ষার্থীরা জানেন। আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই, শেষ দিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাব।
একুশে টেলিভিশন: ডাকসু’র ইশতিহারে গেস্টরুম-গণরুম বন্ধের কথা থাকলেও তা হচ্ছে না কেন?
ভিপি নুর: এ কাজটা করতে চাই কিন্তু আবাসিক হলগুলোর তো হল কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করছে না পরিচালনা করছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচিত ২৩ জন এ বিষয়ে কখনও কথা বলেবেন না। আর হল প্রশাসনকে চাপ প্রয়োগ না করলে এসব বিষয় বন্ধ হবে না। আমরা দুজন মিলে সেই চাপটা তৈরি করতে পারছি না। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মুখর হতে হবে। যেহেতু কথা বলার জায়গা আছে। এখন ডাকসু আছে। শিক্ষার্থীদের উচিৎ প্রতিবাদ করে প্রশাসনকে বাধ্য করা। অন্যথায় এটা সম্ভব হবে না। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ছাত্রলীগ দিয়ে নানা অপকর্মের বাস্তবায়ন করছে। ভিপি বা সমাজসেবা সম্পাদক চাইলেই পরিবর্তন সম্ভব না। এ অনিয়ম নিয়ে শিক্ষার্থীদের মুখ খুলতে হবে, জোরালো প্রতিবাদ করতে হবে। তাদের সঙ্গে আমরা আছি। ছাত্রলীগ কি করবে সেই ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে সবকিছু সহ্য করে যায় তাহলে আমরা দুই জন কথা বললে তেমন কিছু করতে পারব না।
একুশে টেলিভিশন: ডাকসুর নাম ব্যবহার করে আপনি নিজের সংগঠনের প্রচারণা চালাচ্ছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয় আপনি কি বলবেন?
ভিপি নুর: আমি ডাকসুর ভিপি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি। আবার নিজ সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক সেদিক থেকে আমার দলের প্রতি ও ডাকসুর প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। ছাত্রলীগের অপপ্রচার চালানো মহামারি আকার ধারণ করেছে বলে এমন মিথ্যা অভিযোগ উঠছে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ক্যাম্পাসগুলোতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংগঠন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে তারা মরিয়া হয়েছে।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন