ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের মাসপূর্তি আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৩২, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ০১:৩৩, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আজ ৮ সেপ্টেম্বর। এক মাস পূর্ণ হচ্ছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের। এই ‘বিশেষ সরকার’ নিয়ে আগ্রহ অনেক দেশবাসীর। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। প্রথম এক মাসে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার কতটুকু প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে? সরকার কি সঠিক পথে আছে?-এমন প্রশ্ন এখন জনমনে।

তবে প্রথম এক মাসে সরকারের নেওয়া কিছু পদক্ষেপ ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এখনো সরকারের কাজ নিয়ে বিশ্লেষণের সময় হয়নি। তাদের আগুন নেভাতে আর ঘর গোছাতেই সময় চলে গেছে। এর মধ্যে শুরুতেই বানের মতো দাবি আসতে শুরু করে। তারপর আসে সত্যিকারের বান, অর্থাৎ বন্যা। এগুলো সামাল দিতে হয়েছে। তারপরও কিছু পদক্ষেপ তারা নিয়েছে, সেটা ইতিবাচক।

যেমন, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিল করেছে সরকার। এটা সুশাসনের ইঙ্গিত বহন করে। এছাড়া আহসান এইচ মনসুরের মতো ব্যক্তিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ অনেকগুলো ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে হাত দিয়েছেন, যেগুলো আগে দুর্বৃত্তদের হাতে ছিল। এছাড়া কিছু সৎ ও সাহসী মানুষ এই সরকারে যোগ দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে আমরা ইতিবাচক ফল আশা করতেই পারি।

নতুন এই সরকারের হাতে গত এক মাসে প্রশাসনের শীর্ষপদে ব্যাপক রদবদলের ঘটনা ঘটেছে, যা এখনো চলমান আছে। সেই সঙ্গে দেশের আর্থিকখাতসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে নেওয়া হয়েছে সংস্কার উদ্যোগ। স্থানীয় জনপ্রতিধিদের অপসারণ করে তাদের জায়গায় বসানো হয়েছে প্রশাসক। ব্যাংকখাত সংস্কারে সিদ্ধান্ত হয়েছে আলাদা কমিশন গঠনের। সেই সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, অনিয়ম-জালিয়াতির ঋণ ও পাচারকৃত অর্থ দেশে ফেরত আনার। কর্মবিরতি ও হামলার ভয় কাটিয়ে আবারও মাঠে ফিরেছে পুলিশ।

পোশাক ও লোগো পরিবর্তনসহ নানান সংস্কারের মাধ্যমে বাহিনীকে জনবান্ধব করে গড়ে তোলার কথা বলছে নতুন সরকার। যে উদ্দেশ্য নিয়ে বিগত সরকারের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান করেছেন, নতুন সরকার কি সেই পথে হাঁটছে? জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজ উদ্দিন সাকিব বলেন, কেবল তো এক মাস, আমরা যে উদ্দেশ্য নিয়ে আন্দোলন করেছিলাম, তার প্রতিফলন এই সরকারের মধ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি।

ড. ইউনূসের মতো যোগ্য মানুষ সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন। সরকারে যারা আছেন, তাদের উপর আমাদের আস্থা আছে। তবে সব ক্ষেত্রে যে এই এক মাসে সফলতা এসেছে, এমনটি নয়। কিছু ক্ষেত্রে হয়ত আমাদের রেজাল্ট পেতে আরো একটু সময় লাগবে। তবে আমরা সরকারের উপর বিশ্বাস রাখছি।

হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আমলের এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে হচ্ছে একের পর এক মামলা। গ্রেপ্তারও হয়েছেন অনেকে। এর বিপরীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার একাধিক মামলার সাজা বাতিল করা হয়েছে। মুক্তি দেওয়া হয়েছে কারাগারে বন্দি বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের। সেই সঙ্গে জামিন দেওয়া হয়েছে জঙ্গি কার্যক্রমসহ গুরুতর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে, যা নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে।

পুলিশ কাজে ফিরলেও পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করেনি। এছাড়া শেখ হাসিনার পতনের পর সরকারি, আধা-সরকারি, এমনকি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পদত্যাগের হিড়িক দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে কেউ কেউ স্বেচ্ছায় পদ ছাড়ছেন, আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ, অপমান-অপদস্থসহ নানান চাপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হচ্ছেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক মাসের কাজে ছাত্র-জনতার ইচ্ছার কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে তা জানতে চাইলে অন্যতম সমন্বয়ক ওয়াহিদ উজ জামান বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের যে কাজ, সেটা সরকারে থেকে বা বাইরে থেকে- সব জায়গা থেকেই করতে হবে।

সরকারে যারা আছেন, তারা তাদের কাজটা করছেন, আর আমরা যারা বাইরে আছি, আমরা আমাদের কাজটা করছি। দেখেন, বিগত সরকারের সময়ও বন্যা হয়েছে, কতজন মানুষ ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে এসেছে? এবার দেখেন সাধারণ মানুষ কিভাবে ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে এসেছে। কারণ, সবাই এই সরকারকে নিজের সরকার ভাবছে। এটাই কিন্তু আমাদের চাওয়া। সরকার কেবল শুরু করেছে, আমরা আশা করছি, সঠিক পথেই চলছে। সামনের দিনেও ভালো কিছু আমরা আশা করতে পারি।

দুর্নীতি, হত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ নানান অভিযোগ থাকার পরও গত দেড় দশকে যাদের বিরুদ্ধে সেভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি, আগের সরকারের সেইসব প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এখন মামলা হতে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে ইতোমধ্যেই শতাধিক মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, যেগুলোর বেশিরভাগই হত্যা মামলা। একইভাবে আসামি হয়েছেন সজীব ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানাসহ আওয়ামী লীগ সভাপতির পরিবার ও নিকট আত্মীয়দের অনেকে। সেই সঙ্গে, সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের প্রায় সব নেতার বিরুদ্ধে মামলা হতে দেখা গেছে।

সরকার যে প্রক্রিয়ায় এই মামলাগুলো করছে তা ঠিক হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বলেন, একটা অভ্যুত্থানের পর আপনি চাইলেই সবকিছু সঠিকভাবে করতে পারবেন না। কারণ, এখানে অনেক মানুষের চাওয়া পাওয়ার বিষয় থাকে। কেউ মামলা করতে গেলে পুলিশ যদি সেই মামলা না নেয়, তাহলে তারা নিজেদের বঞ্চিত মনে করবে, হতাশায় ভুগবে।

এখন মামলা মানেই তো সবকিছু না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তো ইতিমধ্যে বলা হয়েছে মামলা মানেই গ্রেপ্তার নয়। এই মামলাগুলো তদন্ত হবে, তারপর পুলিশ চার্জশিট দেবে। এরজন্য সময় লাগবে। আমার মনে হয়, তদন্তে এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।

সরকারের এক মাসের কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে গিয়ে অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, এখনো মূল্যায়নের সময় হয়নি। এখন এই সরকার কেবল দায়িত্ব নিলো। ফলে তারা যদি ভালো কাজ করেন, জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে, তাহলে জনগণ প্রশংসা করবে। আর যদি তারা ভালো কিছু না করতে পারেন, তাহলে মানুষ সমালোচনা করবে। ফলে তাদের কাজের মূল্যায়ন করার জন্য আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে। এক্ষুণি কিছু বলা ঠিক হবে না।

সবচেয়ে বেশি আলোচনায় নির্বাচন : শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ৭ আগস্ট নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছিলেন।

যদিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কোনো সময় উল্লেখ না করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করেছিলেন। কিন্তু এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যে বৈঠক হয় সেখানে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ‘যৌক্তিক সময়’ দেওয়া হবে।

এই যৌক্তিক সময়টা ঠিক কতদিনের তা স্পষ্ট করা হয়নি। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীও সরকারকে ‘যৌক্তিক সময়’ দেওয়ার কথাই বলেছে। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বেশিরভাগই ‘আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন’Ñ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। গত ৩১ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময়কালে তারা নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। সময়সীমা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলো পৃথকভাবে সংস্কার প্রস্তাবও সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে। এর মধ্যে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কারের জন্য যতদিন লাগে ততদিনই যেন এই সরকার থাকে।

জাতির উদ্দেশে গত ২৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণে সরকারের সময়সীমার প্রসঙ্গটি ছিল। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা বিষয়ে সবাই জানতে আগ্রহী, কখন আমাদের সরকার বিদায় নেবে। এটার জবাব আপনাদের হাতে, কখন আপনারা আমাদের বিদায় দেবেন। কখন নির্বাচন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন।

আমরা ছাত্রদের আহ্বানে এসেছি। তারা আমাদের প্রাথমিক নিয়োগকর্তা। দেশের আপামর জনসাধারণ আমাদের নিয়োগ সমর্থন করেছে। আমরা ক্রমাগতভাবে সবাইকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে যাব, যাতে হঠাৎ করে এই প্রশ্ন উত্থাপিত না হয় আমরা কখন যাব। তারা যখন বলবে, আমরা চলে যাব।’

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার যে মেয়াদকাল নিয়ে কিছুটা হলেও চাপ অনুভব করছে তা গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত দেশের শীর্ষস্থানীয় সম্পাদকদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার মতবিনিময় অনুষ্ঠানেও ফুটে ওঠে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ নিয়ে তাকেও ভাবতে হচ্ছে। সম্পাদকদের কাছে তিনি পরামর্শ চান- ‘কতদিন থাকা উচিত বলে আপনারা মনে করেন। এক্ষেত্রে আপনাদের পরামর্শ পেলে আমাদের সুবিধা হবে।’ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের যৌক্তিক সময়কে প্রধান উপদেষ্টা ‘যত কম সময়ে সম্ভব’ বলেই মনে করছেন- এমন ভাবনার কথাও প্রকাশ পেয়েছে ওই অনুষ্ঠানে।

ওই সভায় কয়েকজন সম্পাদক সময়সীমা নিয়ে তাদের প্রস্তাব তুলে ধরেন। সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, ‘আমার মনে হয়, সর্বনিম্ন দুই বছর থেকে সর্বোচ্চ তিন বছরের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ শেষ করা উচিত।’ আমাদের সময় সম্পাদক আবুল মোমেন মনে করেন, দুই বছরের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়। প্রতিদিনের বাংলাদেশ সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, ‘১০০ দিনের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত সংস্কারের রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করা এবং সে আলোকে কতদিন সময় লাগবে সেটা ঘোষণা করা।’

এদিকে, ড. ইউনূস দুই বছরের বেশি সময় থাকতে চান না বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বেশি সময় নিলে অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রিয়তা কমবে, নানাবিধ চাপ তৈরি হবে। তাই যৌক্তিক সময় মানে যত দ্রুত সম্ভব তাদের কাজ শেষ করা উচিত। এর মধ্যেই সংস্কার শেষ হতে হবে। 
এর আগে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো তিন মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল।

স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে দায়িত্ব সম্পন্ন করেছিল। এরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সাংবিধানিক নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলোও নির্ধারিত তিন মাস সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করেছে। তবে ২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় ছিল। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাদের কার্যক্রমের একটি রোডম্যাপ জাতির সামনে উপস্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি