ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অপকৌশলের কারণে আদায় হচ্ছে না খেলাপি ঋণ (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩


গ্রহীতাদের অপকৌশলে খেলাপি ঋণ আদায় কঠিন হয়ে পড়েছে। কোনো গ্রহীতা বদলে ফেলেছেন প্রতিষ্ঠানের নাম। কেউবা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানে। আবার একই সম্পদ একাধিক ব্যাংকে বন্ধকি রেখে ঋণ নেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এতে নিলাম কার্যক্রম চালিয়ে খেলাপি আদায় সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খেলাপিদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণখেলাপির সংখ্যা ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫ জন। এরমধ্যে শীর্ষ ২০ খেলাপির তালিকা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই ২০ খেলাপির মোট ঋণ ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। যার মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

শীর্ষ ২০ খেলাপির তালিকায় প্রথমে থাকা সিএলসি পাওয়ার লিমিটেডের ঋণ এক হাজার ৭৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এরমধ্যে খেলাপি ১ হাজার ৬৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ঋণের স্থিতি ১ হাজার ৮৫৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। খেলাপির এক হাজার ৫২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। মাইশা গ্রুপকে বিপুল পরিমাণ ঋণ দিয়ে বিপাকে পড়েছে অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।   

ক্রিসেন্ট গ্রুপের রিমেক্স ফুটওয়্যারের ঋণের এক হাজার ৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকার পুরোটাই এখন খেলাপি।

আরেক বড় খেলাপি রাইজিং গ্রুপ। এ প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৯৯০ কোটি টাকা। এ গ্রুপের একটি শিপইয়ার্ড ভাড়ায় চলছে। বদলে গেছে নামও। হাতবদল হয়ে গেছে পেট্রোলিয়াম রিফাইনারি কারখানাটি।   

এছাড়া রতনপুর গ্রুপের ব্যাংকের খেলাপি ৮৮৮ কোটি টাকা। এটি ইস্পাত খাতের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান ছিল। একই সম্পদ একাধিক ব্যাংকের কাছে বন্ধকি থাকায় নিলাম কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না। 

তালিকায় শেষে থাকা সিদ্দিকী ট্রেডাসের ঋণের স্থিতি ৬৭০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা। ফিনিক্স গ্রুপের অ্যাপোলো ইস্পাতের খেলাপি ৬২৩ কোটি টাকা।

ব্যাংকাররা বলছেন, ঋণ খেলাপিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা জরুরি। নতুন ব্যাংকিং আইনের কঠোর প্রয়োগ হলে খেলাপি কমতে পারে বলে আশা করছেন তারা।  

মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “ব্যাংকি কোম্পানির মাধ্যমে বলা হবে যেটা ডিফল্ড কালচারটাকে নিরুৎসাহিত করবে। আমরা যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিতে পারি তখন এসব মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।”

এদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, খেলাপি ঋণ সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ভালো নয়। আইনের ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে।

অর্থঋণ আদালতে মামলা দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার কারণে খেলাপি আদায়ে ব্যাংকগুলো অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয় না।  

সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “দেখতে পাই, একটা কেস ফাইল করার পর ৮-৯ বছর লেগে যাচ্ছে।’

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি