ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অফিসার্স ক্লাব নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫৯, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

অফিসার্স ক্লাব ঢাকা নির্বাহী কমিটির ২০১৮-২০১৯ মেয়াদের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়েছে। চলছে ভোট গনণা। শুক্রবার ১৯ শে জানুয়ারি বিকাল ৫টার সময় শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ একটানা চলে রাত ১০.৩০ পর্যন্ত। ভোটাররা তাঁদের পছন্দের  ভাইস চেয়ারম্যাম, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, সদস্য নির্বাচিত করতে ভোট দিয়েছেন। অফিসার্স  ক্লাব নির্বাচনের ফলাফল কেমন হবে, তা নিয়ে  প্রর্থীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে

অফিসার্স ক্লাব ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, রাতেও কেন্দ্রের বাইরে ভোটার এবং উৎসুক মানুষের ভিড়। ভোটারা প্রর্থীদের সমর্থন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছে।

এরপারে জানতে চাইলে সদস্য পদ পর্থী মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ একুশে টিভিকে বলেন,  ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে এখন চলছে গণনা। রাত ২টা বা তিনটা বাজতে পারে ফলাফল প্রকাশিত হতে। তবে নির্বাচনের পরিবেশ ছিল উৎসব মুখর। ভোটারা কেন্দ্রের বাইরে  অপেক্ষা করছেন ফলাফলের জন্য।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অফিসার্স ক্লাবে সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, যুগ্ম সম্পাদক ও সদস্যসহ ২২টি পদের বিপরীতে প্রার্থীতা ৪৫ জন সরকারি কর্মকর্তা। প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বর্তমান দায়িত্বরত সচিবসহ বেশকিছু প্রভাবশালী কর্মকর্তা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ক্লাবে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৩১ জন। যদিও ক্লাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা পাঁচ হাজার তিনশ’ জন। অফিসার্স ক্লাব সূত্র জানায়, সংবিধান অনুসারে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব হন ক্লাবের সভাপতি। বর্তমানে এ পদে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। এই পদটিতে কখনো নির্বাচন হয় না।

সহ-সভাপতি পদের সংখ্যা মোট তিনটি। এ তিন পদের বিপরীতে মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব এম এ রাজেক, প্রফেসর ডা. মো মোজাহেরুল হক, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কেএএম মোজাম্মেল হক, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আনছার আলী খান, আমিনুল ইসলাম, মো. গোলাম মোস্তফা, রওশন আরা জামান এবং বাংলাদেশ আনসারের সাবেক উপ-মহাপরিচালক ড. ফোরকান উদ্দীন আহাম্মদ।

সাধারণ সম্পাদকের একটি পদে লড়ছেন তিন প্রার্থী। তারা হলেন- সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এম খালিদ মাহমুদ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোশারফ হোসেন।

কোষাধ্যক্ষের একটি পদে যুগ্ম কর কমিশনার ব্যারিস্টার মোতাসিম বিল্লাহ ফারুকী ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মেজবাহ উদ্দীন।

যুগ্ম-সম্পাদকের তিন পদের বিপরীতে লড়ছেন পাঁচজন। তারা হলেন- ঢাকা কলেজের অধ্যাপক ড. ফেরদৌসি খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মোস্তান হোসেন, ডা. সৈয়দ ফিরোজ আলমগীর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

১৪টি সদস্য পদের বিপরীতে মোট ৩৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরা হলেন- ডা. মো. এমদাদুল হক, এমএ মজিদ, আবদুল মান্নান, ডা. মনিলাল আইচ লিটু, আশরাফুল খান রোজি, মীর মনজুরুর রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান মো. মনছুরুল আলম, শেখ মো. শরীফ উদ্দীন, ড. মো. জাকেরুল আবেদীন (আপেল), স্বপন কুমার রায়, সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ, মুহাম্মদ সাবিক সাদাকাত, একে বোরহানউদ্দীন, শ্যামাপদ, মো. আখতারুজ্জামান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব (যুগ্ম সচিব) ড. মো. হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, আসমা সিদ্দিকা মিলি, মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, শাহীন আরা মমতাজ (রেখা), আলমগীর হোসেন, শাহাদৎ হোসাইন, উপ-প্রধান তথ্য অফিসার স. ম. গোলাম কিবরিয়া, প্রাদ্যুৎ কুমার সাহা, মোতাহার হোসেন, মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ, জেসমিন আক্তার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রথীন্দ্র নাথ দত্ত, মাসুদ করিম, তানিয়া খান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব আজহারুল ইসলাম খান, জনপ্রশাসন মন্ত্রীর পাবলিক রিলেশন অফিসার মমিনুল হক (জীবন), মোহাম্মদ শাহজালাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ-সচিব সৈয়দা সালমা জাফরীন ও মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন মৌসুমি।

 

আর/টিকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি