ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

অবশেষে বিজিএমইএ ভবন ভাঙা হচ্ছে আজ

প্রকাশিত : ০৯:০০, ১৬ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১০:০৪, ১৬ এপ্রিল ২০১৯

অবশেষে রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে অবৈধভাবে নির্মিত গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠনের প্রধান কার্যালয় বিজিএমইএ ভবন ভাঙা কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে আজ মঙ্গলবার। সকাল ১০ টায় ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবে বলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন একুশে টিভিকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘ আইনী জটিলতার অবসান শেষে আমরা উচ্চ আদালত কর্তৃক নতুন করে কোন প্রকার সময় বৃদ্ধি বা ভবন ভাঙ্গা কার্যক্রম স্থগিত রাখতে কোন নির্দেশনা না পাওয়ায় বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙে ফেলার কাজ শুরু করছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভবনটি ভাঙতে বিজিএমইএ-কে দেয়া সময় পার হয়ে যাওয়ার পরই সরকার এই ভবনটি ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু করছে। ভবনটি ভাঙার জন্য রাজউকের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান। পুরো ভবনটি ভাঙতে একদিন সময় লাগবে। এর মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হলো যে কেউই আইনের উর্ধে নন। বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে দেশ পুনর্গঠন কাজে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। রাজউক সূত্র জানায়, ভবন ভাঙ্গার কার্যক্রম বাস্তবায়নের সময় পুলিশ সেনাবাহিনী, আনসার, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ উপস্থিত থাকবেন।


মঙ্গলবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিজিএমইএ ভবনের সব ইউটিলিটি সার্ভিস যেমন গ্যাস বিদ্যুত,পানি, টেলিফোন লাইনসহ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভবনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া ভবনটি থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে অফিস মালিকদের স্বল্প সময় প্রদান করা হতে পারে। এরপরই মূল ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু করা হবে।

সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দেয় আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নামে রাজউক। এর আগে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, মূলত আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা দেখব ১২ এপ্রিলের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন কর্তৃপক্ষ ভবনটি ভাঙা হয় কি না। এরপরই আমরা আদালতের রায় বাস্তবায়ন করতে মাঠে নামব। সোমবার বিকেল সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনটিতে থাকা কিছু অফিস তাদের মালামাল সরিয়ে নিয়েছে।

এছাড়া হাতিরঝিল প্রকল্পের সেনাবাহিনীর অংশের পক্ষ থেকেও ভবনটি ভাঙ্গার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। ভবনটি ভাঙ্গার সময় পর্যাপ্ত পুলিশের উপস্থিতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে সোমবারই রাজউক কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছে। এছাড়া ভবন ভাঙ্গার সময় সেনাবাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য উপস্থিত থাকবেন। রাজউকের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, রাজউক বোর্ডের সদস্যগণ, হাতিরঝিল প্রকল্পের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে মেজর জেনালের সাঈদ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী ও পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন।

টিআর/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি