অবশেষে সংরক্ষিত হচ্ছে শ্রীমঙ্গলের ‘জয়বাংলা বধ্যভূমি’
প্রকাশিত : ২০:০৪, ২২ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ২০:০৫, ২২ নভেম্বর ২০২১
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল রাজঘাট ইউনিয়নের সিন্দুরখান ‘জয়বাংলা বধ্যভূমি’ সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সোমবার দুপুরে জয়বাংলা বধ্যভুমিতে স্মৃতি সৌধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, সহকারী কমিশিনার ভূমি নেছার উদ্দিন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার জামাল উদ্দিন, শ্রীমঙ্গল মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার কুমুদ রঞ্জন দেব, মুক্তিযোদ্ধা আছকির মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেন ছমরু, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা ডা: রতি কান্ত রায়, মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক বিকুল চক্রবর্তী প্রমূখ।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আজিম উদ্দিন সরকার জানান, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ৩৩ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা ব্যায়ে এটি নির্মাণ করছে মৌলভীবাজার শাহিনুর এন্টারপ্রাইজ। যার সার্বক্ষণিক তদারকি করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর শ্রীমঙ্গল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান বিজয় বুনাজী, সিন্দুরখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হেলাল, স্থানীয় ইনিয়ন পরিষদ সদস্য রিপন রায়, শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা সেলিম হক।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্তমান সিন্দুরখান বিজিবি ক্যাম্পের পাশে বিশাল বাঁশ বরন্ডিতে (ঝাঁড়) অগণিত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী নারী পুরুষকে হত্যা করে সেখানেই লাশ ফেলে রাখে।
সিন্দুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা ডা: রথি কান্ত রায় জানান, বধ্যভূমির পাশে পাকিস্তানী ক্যাম্পে এনে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী মানুষকে নির্যাতন করতো। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের খবর দিতো না, তাদের কথামতো কাজ করতোনা তাদের জন্য নির্দেশ দিতো এদের “জয় বাংলামে বেঁচদেও” আর এই বাক্য উচ্চারণের পর পরই এই বাঁশ বরন্ডিতে নিয়ে তাদের গুলি করে হত্যা করা হতো।
মুক্তিযোদ্ধা রতি কান্ত রায় জানান, বিগত ৫০ বছর ধরে এই বধ্যভূমিটি অরক্ষিত অবস্থায় আছে। অনেকেই এটিকে দফায়-দফায় দখলের চেষ্টা চালায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, এলাবাবাসী ও সাংবাদিকদের উদ্যোগে এটি রক্ষা পায়। বর্তমানে এখানে স্মৃতিসৌধ হচ্ছে এতে এই জায়গাটি আর বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
কেআই//
আরও পড়ুন