ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অবসরে গেলেন প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:৫৪, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮

 দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা পেশায় অবদান রেখে অবসরে গেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একুশে পদক প্রাপ্ত ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে বিএসএমএমইউ এর  ডি ব্লকে ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের হলরুমে তার বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ হলেন এমন একজন গুণী শিক্ষক, চিকিৎসক, গবেষক, প্রশিক্ষক যাঁর মাধ্যমে কোনো কোনো জায়গায় প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত পরিচিতি লাভ করে। রোগীরা অধ্যাপক ডা. এ বিএম আব্দুল্লাহর নাম শ্রদ্ধার সাথে উচ্চারণ করেন।

তিনি বলেন, অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ হলেন তরুণ চিকিৎসকদের জন্য অনুসরণীয় অনুকরণীয় শিক্ষক ও চিকিৎসক। এই বিশ্ববিদ্যালয় সব সময়ই তার অভাব অনুভব করবে।

সদ্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, জীবনের লক্ষ্য (টার্গেট) থাকতে হবে। কারো ক্ষতি করা নয়, ভালোকিছু করার প্রবণতা থাকতে হবে। মানুষের জীবনে কিছু করে যাওয়ার মতো সময় খুব অল্পই পাওয়া যায়। সংক্ষিপ্ত মানব জীবনের পরিভ্রমণের সেই আরো সংক্ষিপ্ত সময়ে ভালো কিছু অর্জন করে তা মানুষের মাঝেই বিতরণ করে যেতে হবে। করে যেতে হবে।

তরুণ চিকিৎসকদরে উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তরুণরা সকলেই ভালো মানুষ ও ভালো চিকিৎসক হবেন সেই প্রত্যাশা করছি। জীবনে আশাহত হওয়া যাবে না। সমালোচনায় কান দেয়া যাবে না। সততা ও আন্তরিকতার সাথে বারবার এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে এটাই আমার কামনা।

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর সহধর্মিনী অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগম বলেন, জীবনে সফল হওয়ার জন্য আত্মবিশ্বাস, টার্গেট, সময়ানুবর্তিতা, স্বার্থহীনতা, একাগ্রতা, চেষ্টা ও আশাবাদী থাকাটা খুবই জরুরি। এসকল গুণসমূহ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ-এর মাঝে বিদ্যমান রয়েছে বলেই তিনি আজ এই পর্যায়ে পৌঁছেছেন।

সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ হলেন আদর্শবান ব্যক্তিত্ব, শিক্ষক ও চিকিৎসক। রোগীদের প্রতি কোনোরকম অবহেলা তিনি সহ্য করতে পারেন না। সহজ সরল এমন গুণী শিক্ষক ও চিকিৎসককে অনুসরণ করেই তরুণ চিকিৎসকদের আলোকিত মানুষ, আলোকিত চিকিৎসক হওয়া জরুরি।

বক্তারা অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহকে মানবদরদী চিকিৎসক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দেশের চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণায়সহ সামগ্রিক চিকিৎসা পেশার উন্নয়ন, মর্যাদা বৃদ্ধি ও সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখতে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ স্যার অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং বর্তমানেও তা অব্যাহত রয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।  এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আব্দুল্লাহ আল হারুন, অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ স্যারের সহধর্মিনী অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগম, অধ্যাপক ডা. মোঃ ফরিদ উদ্দিন, অধ্যাপক ও কবি ডা. মোঃ আবদুর রহিম, অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল জলিল চৌধুরী প্রমূখ।

 টিআর/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি