- ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বয়স্কভাতা খাতে জন প্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২০ লক্ষ বয়স্ক ব্যক্তি/ উপকারভোগীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা ৪০ লক্ষ উপকারভোগীর জন্য জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে ২৪০০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
- ২০০৮-০৯ অর্থবছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা খাতে জন প্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ৯ লক্ষ বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা নারীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ২৭০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ১৪ লক্ষ জনের জন্য বরাদ্দ ৮৪০ কোটি টাকা। বিগত ১০ বছরে (২০০৯-১৮) বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা খাতে ৫২৬৮.২২ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
- ২০০৮-০৯ অর্থবছরে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা খাতে জন প্রতি মাসিক ২৫০ টাকা হারে ২ লক্ষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাথাপিছু মাসিক ৭০০ টাকা হারে ১০ লক্ষ জনের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে ৮৪০ কোটি টাকা। বিগত ১০ বছরে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা খাতে ৩২৬৭.৬১ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে।
- ২০০৮-০৯ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি খাতে ১৩ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৬ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ লক্ষ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর জন্য বাজেট ৮০ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। বিগত ১০ বছরে (২০০৯-১৮) প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি খাতে ১১৭১.৫৩ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে ।
- দেশব্যাপী ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র স্থাপন এবং প্রতিটি কেন্দ্রে অটিজম রিসোর্স সেন্টার চালু, যা থেকে বছরে প্রায় ৪ লক্ষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সরাসরি সেবা পাচ্ছে।
- ৩২টি মোবাইল থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
- চা বাগানের শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে খাদ্য, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সারাদেশে ৩০,০০০ জন চা শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে শুর হয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত মোট ৪৬ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে ।
- প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর (হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর) জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এর মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ৭৬ হাজার ব্যক্তি প্রশিক্ষণ, বিশেষ ভাতা এবং শিশুরা উপবৃত্তি পাচ্ছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট বরাদ্দ ২৭ কোটি টাকা এবং মোট উপকারভোগী ৩৫,৯৩২ জন।
- পল্লী অঞ্চলে বসবাসরত দুস্থ, অসহায়, অবহেলিত, অনগ্রসর ও পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠিকে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে পল্লী সমাজসেবা (আরএসএস) কার্যক্রম, পল্লী মাতৃকেন্দ্র (আরএমসি), দগ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পুনর্বাসন কার্যক্রম এবং আশ্রয়ণ কার্যক্রম এ চারটি কর্মসূচি পরিচালনা করে যাচ্ছে। শুর হতে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত সর্বমোট পুঞ্জিত বিতরণ ৮৭০ কোটি ৩৮ লক্ষ টাকা। শুর হতে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত উপকারভোগীর সংখ্যা ৩৫ লক্ষ ৪১ হাজার ৭৮১ জন।
- পথশিশুদের অধিকার সুরক্ষার জন্য স্থায়ীভাবে ১২টি শেখ রাসেল প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যাতে ২৩টি আবাসস্থলে ২০১২-১৩ অর্থ বছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত প্রায় ৯০৪৯ জন (৪৪৩৩ জন বালক ও ৪৬১৬ জন বালিকা) শিশুকে সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে।
- গ্রামীন দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ৪১৯ টি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে রোগকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হয়েছে।
উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ
- বিগত ১০ বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় মোট ৩২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে যাতে জিওবি অনুদান ৬৩৫.৮৪ কোটি টাকা।
- ৮টি শিশু পরিবার এর হোস্টেল ভবন নবনির্মিত হয়েছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ৩৭টি হোস্টেল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য আরও ৩৭টি হোস্টেল নির্মাণ চলমান রয়েছে ।
- প্রতিটি জেলায় সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১ম পর্যায়ে ২২টি জেলা সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ চলমান রয়েছে ।
- বিগত ১০ বছরে (২০০৯ হতে ২০১৮) মোট উপকারভোগীর সংখ্যা = ৪১৬.৮৪ লক্ষ জন এবং অর্থ বিতরণের পরিমাণ = ১৯১৪০.২৯ কোটি টাকা
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ
- ২৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ। ৪২৩টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র আহবান।
- ১০০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ। ২২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম বাস্তবায়নাধীন।
- সরকারি অর্থায়নে হত দরিদ্রদের বসতবাড়িতে ২,১৫,৬৫৯টি সোলার প্যানেল স্থাপন।