অভিষেকের ফোন থেকে রানির ফোনে ‘আই মিস ইউ’ মেসেজ!

হঠাৎ করেই যেনো মেসেজটি এসেছিলো রানির ফোনে অভিষেকের পক্ষ থেকে। ‘আমি তোমাকে মিস করছি’ এমন লেখা একটি মেসেজই দিয়েছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় তারকা অভিষেক বচ্চন আরেক জনপ্রিয় তারকা রানি মুখোপাধ্যায়কে। আর এই মেসেজকে বলাই যেতে পারে প্রেমমাখা বার্তা।

যদিও তা দেখে বা পড়ে চোখ ছানাবড়া রানির। অঙ্ক মেলাতে পারছিলেন না ‘বান্টি’ অভিষেকের ‘বাবলি’ রানি। জানেন কি কেনো ঘটেছিলো এমনটা?  শোনা যায় প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সৌজন্যে ঘটেছিলো এমনটা।

হ্যাঁ, ‘ব্লাফমাস্টার’ কো-স্টার অভিষেক বচ্চনের ফোন ‘চুরি করে’ রানিকে এমন মেসেজ পাঠিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা।

সবটা ঘটেছিল ২০০৫ সালে ‘ব্লাফমাস্টার’ ছবির শ্যুটিং সেটে। আর  সিমি গেরেওয়ালকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে নিজের এই দুষ্টুমির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।

সাক্ষাত্কারের সেই অংশ রোববার নিজের ইনস্টাগ্রাম পেজে শেয়ার করে নেন সিমি। সেখানে দেখা যাচ্ছে সিমি সরাসরি প্রিয়াঙ্কাকে প্রশ্ন করছেন, ‘তুমি অভিষেকের ফোন চুরি করেছিলে?’

প্রিয়াঙ্কা হাসি চাপতে পারেননি। তবে পালটা বলেন, ‘কিন্তু ও আমার ফোনটা আগে চুরি করেছিল, সেটা বন্ধ করে ওটার উপর ঘন্টার পর ঘন্টা বসেছিল। আমি পাগলের মতো ফোনটা খুঁজছিলাম। আমি জানতাম ওই লুকিয়ে রেখেছে তবুও কিছুতেই স্বীকার করেনি। এরপর আর বসে থাকতে না পেরে বাধ্য হয়ে আমাকে ফোনটা ফিরিয়ে দিয়েছিল, কারণ ওকে ভ্যানিটির বাইরে যেতে হতো’। 

অভিনেত্রীর কথায় অভিষেকের ফোন লুকাতে বেশি কষ্ট করতে হয়নি তাকে। নিজের ফোন ফেলে রেখে অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন অভিষেক। সুযোগ বুঝে অভিষেকের ফোন লুকিয়ে ফেলেন প্রিয়াঙ্কা।

এরপর যা কাণ্ড ঘটান তা সত্যি অবাক করবার মতো। রানি মুখোপাধ্যায়কে ওই ফোন থেকে মেসেজ করেন প্রিয়াঙ্কা। লেখেন, ‘আমি মিস ইউ, তুমি কোথায় আছো? তুমি কী…’। 

এরপর সিমি পাল্টে জিজ্ঞাসা করেন, 'তুমি জানো রানি সেই মেসেজের জবাবে কী লিখেছিল?'
প্রিয়াঙ্কা উত্তরে বলেন, ‘আমি জানি না। আমি খুব ভয় পেয়েগিয়েছিলাম। আমি ফোনটা সুইচ অফ করে সেটা লুকিয়ে রেখে দিয়েছিলাম ভ্যানে ,এরপর আমি সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম’। 
তবে প্রশ্নের উত্তরটা সিমি জানিয়েছিলেন সবাইকে। 

সিমি জানান, রানি মুখোপাধ্যায় পালটা লিখেছিলেন যে, ‘হাই এবি, তোমার কী সমস্যা? কিছু হয়েছে নাকি?’ 

এই গোপন খবর সঞ্চালিকার কাছে কীভাবে পৌঁছালো তা জানতে চান প্রিয়াঙ্কা। যদিও নিজের গোপন সূত্র ফাঁস করতে রাজি হননি সিমি।

সূত্রঃ হিন্দুস্থান টাইমস
আরএমএ