অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণরোধে এয়ার পিউরিফায়ার
প্রকাশিত : ২১:২৬, ২৯ অক্টোবর ২০২০
সামনে শীতের মৌসুম। এ সময় শীতের প্রকোপ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে রাখি। এ কারণে বাইরের বাতাস আমাদের ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না, যা অভ্যন্তরীণ বাতাসের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ঘরের ভেতরের দূষিত বায়ু ঘর থেকে বেরুতে না পারলে তা আরও শক্তিশালী রুপ ধারণ করে।
অনেকে ঘরের ভেতরের বাতাসের চেয়ে বাইরের বাতাসকে বেশি বিষাক্ত মনে করেন। আসলে কি তাই? গবেষকরা এক্ষেত্রে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তাদের মতে, অভ্যন্তরীণ কক্ষের বায়ু দূষণের পরিমাণ বাইরের বায়ু দূষণের চেয়ে ২ থেকে ৫ গুণ বেশি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে উন্মুক্ত স্থানের বাতাসের চেয়ে তা শতগুণ বেশি হয়ে থাকে।
অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। যেমন: ঘরদোর পরিষ্কার, নির্মাণাধীন বিভিন্ন স্থাপনার ধূলিকণা, রান্নার কাজে ব্যবহৃত জ্বালানি এবং প্রযুক্তি, তাপ উৎপাদনকারী বিভিন্ন সামগ্রী, আলোর বিভিন্ন ধরনের উৎসসহ অন্যান্য অনেক কারণে অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ হয়ে থাকে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে ঢাকার নাম উঠে এসেছে। বর্তমান সময়ে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির প্রকোপে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসার বাইরে যাচ্ছে না। এ ভাইরাসটি মূলত মানুষের ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায় এবং শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমেই তা একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়ায়। সাধারণ ফ্লু বা ঠাণ্ডা লাগার মতো করেই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায়। এ ভাইরাসটির কোন টিকা বা প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। আপাত প্রতিকার হিসেবে এ ভাইরাস বহনকারীদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে ও বাসায় অবস্থান করতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই, এ সময় বাসার অভ্যন্তরের বায়ুকে নির্মল রাখাও জরুরি।
বায়ুবাহিত ভাইরাস প্রতিরোধে ঘরে লাগানো যেতে এয়ার পিউরিফায়ার। বাজারে অনেক রকমের এয়ার পিউরিফায়ার রয়েছে, কিন্তু অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন ভালো মানের এয়ার পিউরিফায়ার। অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণ হ্রাস এবং সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে সিঙ্গারের অত্যাধুনিক এয়ার পিউরিফায়ার দারুণ সমাধান হতে পারে। বায়ুতে ভেসে বেড়ানো অ্যালার্জির জীবাণু দূর করে স্বস্তিদায়ক বিশুদ্ধ বাতাস নিশ্চিত করে এ পিউরিফায়ারগুলো। ব্লুএয়ার এয়ার পিউরিফায়ারগুলোতে রয়েছে হেপা-সাইলেন্ট প্রযুক্তি, যা বাতাসে থাকা ৯৯.৭ শতাংশ জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম। যেমন: ধোঁয়া, ধুলা, পরাগ রেণু, জীবাণু, ছত্রাকসহ বিভিন্ন অ্যালার্জি দূর করে। বিশেষ করে, যেসব পরিবারে নবজাতক, বয়োবৃদ্ধ কিংবা শ্বাসকষ্টের রোগী রয়েছে, সেসব পরিবার এ প্রযুক্তির এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহারে উপকার পাবে।
পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের হুমকি বায়ুদূষণ। বায়ু দূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭০ লাখ মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। বাতাসে ভারী ধাতু ও সূক্ষ বস্তুকণা বেড়ে গেলে ক্যানসার, শ্বাসকষ্ট, স্নায়ুজনিত সমস্যা বেড়ে যায় ও কমে যায় বুদ্ধিমত্তা। ঘরের বাইরের বায়ুদূষণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা প্রায় অসম্ভব। তবে, নিজের ও পরিবারের সুস্থতার জন্য অভ্যন্তরীণ বায়ু দূষণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
এসি
আরও পড়ুন