অভ্যাস মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ
প্রকাশিত : ১২:৩৭, ২১ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৩৪, ২২ জুন ২০১৭
দৈনন্দিন নানা চাপ, দুঃশ্চিন্তা, অসম পারিপার্শ্বিকতা আপনাকে সব সময় উদ্বিগ্ন রাখে। যা মস্তিস্কের উপর চাপ বাড়ায়। এর উপর নিজের অজান্তেই দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মস্তিস্ক।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এমনই কিছু ক্ষতিকর অভ্যাসের বিষয় উল্লেখ করা হয়।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া
প্রায় সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবারেই চিনি থাকে। তবে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মস্তিষ্কের জন্যও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে শরীর দীর্ঘসময় পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করতে পারে না। ফলে অপুষ্টির সমস্যা দেখা দিতে পারে যা মস্তিষ্কের জন্যও ভালো নয়। কারণ শরীর পুষ্টি উপাদান শোষণ করতে না পারলে রক্তে এই প্রভাব পড়ে। তখন মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছায় না এবং গঠনেও ব্যঘাত ঘটে।
বায়ু দূষণ
মস্তিষ্ক কার্যকর রাখতে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেন প্রয়োজন। তাই দীর্ঘসময় দূষিত বায়ু গ্রহণের ফলে শরীরে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব হতে পারে। ফলে এর কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।
অতিরিক্ত খাওয়া
প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে শুধু যে ওজন বৃদ্ধি পায় তা নয়, এর ফলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্রমেও ব্যঘাত ঘটে।
কম কথা বলা
শরীরের মাংশপেশি সতেজ এবং সুস্থ রাখতে ব্যায়াম যেমন জরুরি তেমনি বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনাও মস্তিষ্কের জন্য ব্যয়ামের মতোই কাজ করে। তাই যারা একদমই কথা বলেন না তাদের মস্তিষ্কের ব্যায়াম কম হয়।
ঘুমের অভাব
দিনে ছয় ঘণ্টার কম ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে বদলাতে হবে জীবন। কারণ, দীর্ঘ দিন ঘুমের অভাবের কারণে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। সেখান থেকে নানান সমস্যা যেমন- অচেতনতা, শ্বাস নিতে কষ্ট এবং দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে।
নাস্তা না করা
অনেকেই তাড়াহুড়ার কারণে বা ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে সকালের নাস্তা বাদ দিয়ে থাকেন। দিনের শুরুতে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টির প্রয়োজন হয়, যার চাহিদা মেটাতে সকালের নাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দিনের শুরুতেই খাবার বাদ দিলে রক্তে শর্করার অভাব দেখা দেয়। ফলে রক্ত প্রযোজনীয় পুষ্টি মস্তিষ্কে সরবরাহ করতে পারে না। এ কারণেই সকালের নাস্তা কখনও বাদ দেওয়া উচিত নয়।
ধূমপান
ধূমপানের ফলে মস্তিষ্কের শিরাগুলো সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে আলৎঝাইমার’স এবং স্মৃতিভ্রংশের মতো মস্তিষ্কের রোগ হতে পারে।
মোবাইল ফোন
নিত্যব্যবহৃত এবং অত্যন্ত জরুরি এই যন্ত্র মস্তিষ্কের জন্য বেশ ক্ষতিকর হতে পারে। সারাদিন মোবাইল ব্যবহার এবং মাথার পাশে নিয়ে ঘুমানোর ফলে তা মস্তিষ্কের ক্ষতি করে থাকে।
সুইডিশ এক গবেষণার ফলাফলে বলা হয় মাথাব্যথা এবং অনিশ্চয়তায় ভোগার কারণ হতে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন। তাই বলে ফোন বাতিল করার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা দরকার।
- দীর্ঘসময় কথা বলার সময় হেডফোন ব্যবহার করুন বা স্পিকার চালু করে কথা বলুন।
- শরীরের সঙ্গে ফোন না রাখার চেষ্টা করুন। প্যান্ট বা শার্টের পকেটে না রেখে সম্ভব হলে ব্যাগে ফোন রাখার অভ্যাস করুন।
- অল্প কথার ক্ষেত্রে ফোনে কথা না বলে এসএমএস আদান প্রদানের অভ্যাস গড়ে তুলুন। সূত্র : ওয়েবএমডি।