ঢাকা, সোমবার   ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

অযত্ন-অবহেলায় ‘গুরুদ্বার পটশাহি রোরি সাহেব জাহমান’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩৬, ১৮ জুলাই ২০২৩

ভারত-পাকিস্তানের ওয়াঘা সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক সময়ের ঐশ্বর্যপূর্ণ ‘গুরুদ্বার পটশাহি রোরি সাহেব জাহমান’ এখন শোচনীয় অবস্থায় পড়ে আছে। শিখ ধর্মের সাংস্কৃতিক তাত্পর্যের জন্য পরিচিত লাহোরের অবহেলিত এই রত্ন আজ বেদনার প্রতীক হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।

এএনআই লিখেছে, গুরুদ্বার পটশাহী রোরি সাহেব জাহমান কোনো সাধারণ স্মৃতিস্তম্ভ নয়। এটি শতাব্দী-প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ, যেটির আধ্যাত্মিক গুরুত্ব এবং প্রথম শিখ ধর্মগুরু গুরু নানক দেবের জীবন ও শিক্ষার প্রতি সম্মান তুলে ধরে।

গুরু নানক দেব গোটা জীবনে তিনবার এই নিদর্শনস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। পাথরের নুড়ির উপর বসে প্রার্থনার জন্য এই জায়গাটি বেছে নিয়েছিলেন। এই প্রাচীন নিদর্শন সম্পর্কে গুরবাণীতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্মৃতিস্তম্ভটির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যর মধ্যে সেখানে একটি বড় পুকুর ছিল। এটি একসময় গোটা অবকাঠামো ঘিরে রেখেছিল। মানুষ সেখানে গিয়ে প্রশান্তি খুঁজে পেত। যদিও সেই শান্ত জলের পুকুর এখন প্রায় সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে গেছে। এর স্থলে এখন রাখা হচ্ছে গবাদি পশু ও গোবর।

পাঞ্জাবি অনলাইন ডাইজেস্ট খালসা ভক্সের মতে, পবিত্র এই জায়গাটি এখন দুর্দশার একটি অনুস্মারক হয়ে আছে।

পত্রিকাটি বলছে, ‘গুরুদ্বার পটশাহি রোরি সাহেব জাহমান’ এর পতন হঠাৎ ঘটেনি। দীর্ঘ সময়ের ক্রমাগত অবহেলা ও অবজ্ঞার ফল এটি। সাম্প্রতিক প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞ এই অযত্ন-অবহেলার  উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বৃষ্টিপাতে জাহমানের গুরুদ্বার রোরি সাহেব পেহলি পাটশাহির যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে, যে স্থানটি কেবল শিখরা নয়, হিন্দুরাও পছন্দ করে।
সূত্র-এএনআই
কেআই//
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি