ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

অরুণাচল সীমান্তে চীনের হেলিপোর্ট নিমার্ণ, চাপে নয়াদিল্লী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৬, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে নতুন একটি হেলিপোর্ট নির্মাণ করছে চীন। এতে ভারত-চীন সীমান্তবর্তী এই অনুন্নত ও দুর্গম এলাকায় খুব দ্রুত সামরিক রসদ ও সেনা আনা-নেয়া করতে পারবে বেইজিং। চীনের হেলিপোর্ট নির্মাণে ফলে অরুণাচল নিয়ে ভারতের নতুন করে চাপে পড়ার পাশাপাশি উদ্বেগ আরও বাড়লো।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এই তথ্য জানিয়েছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, চীনের নতুন বিমানবন্দরটি তিব্বতের স্বয়ত্তশাসিত অঞ্চলের অন্তর্গত গোংরিগাবু চু নদীর তীরে নিংচি এলাকায় অবস্থিত। ওই এলাকা চীনা ভূখণ্ডের মধ্যেই পড়ে।  

ইওএস ডেটা অ্যানালিটিক্সে প্রাপ্ত ওপেন-সোর্স স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যেখানে হেলিপোর্টটি নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে কোনো স্থাপনা ছিল না। তবে ৩১ ডিসেম্বরের ছবিতে দেখা যায় সেখানে হেলিপোর্ট নির্মাণের জন্য জমি খালি করা হচ্ছে। আর গত ১৬ সেপ্টেম্বর ম্যাক্সারের উচ্চ-রেজোলিউশনের ছবিতে হেলিপোর্টটি নির্মাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে উঠে আসে।

এদিকে ভূ-স্থানীয় গোয়েন্দা বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়েন সাইমন প্রথমবারের মতো এই চীনা হেলিপোর্ট নির্মাণের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। 

তিনি বলেন, এই হেলিপোর্ট নির্মাণ হলে চীনা সেনাবাহিনী গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি ও উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করতে পারবে। এই অঞ্চলে ঘন জঙ্গল ও এবড়োথেবড়ো পাহাড় থাকায় সামরিক রসদ আনা-নেয়া কঠিন ছিল। তবে একবার এই হেলিপোর্ট হয়ে গেলে দূরবর্তী অঞ্চলে দ্রুত সৈন্য মোতায়েন, টহল দক্ষতা জোরদার এবং কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও দূরবর্তী অবস্থানে চীনের সামগ্রিক সামরিক পদচিহ্ন জোরদার করবে।

হেলিপোর্টের নির্মাণের ওপর নজর রাখছেন এমন সামরিক সূত্রগুলো জানায়, অবশ্যই একটি সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এই হেলিপোর্টের দ্বৈত ব্যবহার হতে পারে। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেসামরিক মানুষের চলাচল নিশ্চিত হতে পারে। এতে চীনা প্রতিরক্ষামূলক ও আক্রমণাত্মক অভিযান এবং তাদের জবাব দেয়ার সক্ষমতা বাড়বে। আপৎকালীন সময়ে দ্রুত সেনা জড়ো করতে পারবে।

অন্যদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের সাবেক প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রভিন বক্সী বলেন, এই হেলিপোর্টটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল এলাকাগুলোর জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে একটি উপযুক্ত পরিকল্পনা সাজানোর চেষ্টা করব।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি