অর্থনীতির স্বার্থে স্থিতিশীল পরিবেশ চান ব্যবসায়ীরা (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪৫, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির স্বার্থে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ চান ব্যবসায়ীরা। তাদের আশা, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচি দেয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে বলেও প্রত্যাশা ব্যবসায়ী নেতাদের। অর্থনীতি বিনাসী রাজনৈতিক কর্মসূচি জনগণ আর মানবে না বলে মনে করছেন তারা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে দেশজুড়ে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধ রূপ নেয় ব্যাপক সহিংসতায়। চলন্ত বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের কারণে আগুনে পুড়ে প্রাণ হারায় বহু মানুষ। পঙ্গুত্বের শিকার হয় অনেকে। আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয় গোটা বাংলাদেশ, স্থবিরতা নেমে আসে জনজীবন ও ব্যবসা বাণিজ্যে।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও উত্তাপ ছাড়ায় রাজনৈতিক অঙ্গণে। ঘটে সহিংসতা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো মুখোমুখি রাজনৈতিক দলগুলো। সরগরম রাজপথ। জনমনে উদ্বেগ, আবারও না সহিংস হয়ে ওঠে রাজনীতির ময়দান।
তবে ব্যবসায়ী নেতারা আশা করছেন, অতীত থেকে শিক্ষা নিলে এবার আর অর্থনীতিবিনাসী গণবিরোধী কর্মসূচিতে যাবে না দলগুলো।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, “বিনামূল্যে ঘর-জায়গা দেয়া হয়েছে পরবর্তী সরকার যদি সেটার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারে তাহলে তো দেশ চালাতে পারবেনা।”
এফবিসিসিআই পরিচালক রাকিবুল আলম দিপু বলেন, “যত গর্জে ততো বর্ষে না, আসলে প্রত্যেকটা নির্বাচনের আগে এরকম হুঙ্কার বিগত সময় দেখেছি, এখনও দেখছি। নির্বাচন হলেই মাঠ গরম হয়।
বড় দুই রাজনৈতিক জোটেরই রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। সেই আলোকে তারা সংযত আচরণ করবে বলেই আশা ব্যবসায়ী নেতাদের।
রাকিবুল আলম দিপু বলেন, “সরকারই দল বলেন বা বিরোধী দল বলেন- তারা যখন কোনো কর্মসূচি দেয় সেই কর্মসূচি দেয়ার সময় একটু চিন্তা করে দেওয়া উচিত।”
মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, “যারা আজ রাজপথে আছেন তাদেরও দেশ চালানোর অভিজ্ঞতা আছে। অতএব, আমরা মনে করিনা অর্থনৈতিক এবং যানমালের ক্ষতি হবে এরকম কাজ ওনারা করবেন না।”
রাজনৈতিক দলগুলো ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ ধরে রাখতে সচেষ্ট থাকবে বলে আশা এই দুই ব্যবসায়ী নেতার।
এএইচ
আরও পড়ুন