অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২ প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজ শুরু
প্রকাশিত : ২০:১৮, ১১ জুন ২০২১ | আপডেট: ২০:৩৪, ১১ জুন ২০২১
জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস ও রিলায়েন্স সলিউশান্স লিমিটড নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের কারখানার নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) চেয়ারম্যান জনাব পবন চৌধুরী শুক্রবার এর উদ্বোধন করেন। জেলা সদরের দিগপাইত ও তিতপল্লা ইউনিয়নে ৪৩৬ একর জায়গার ওপর তৈরি হচ্ছে জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল। বেজা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৩২ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ০৪(চার) একর জমিতে প্রায় ৩০ (ত্রিশ) কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। এসব কারখানায় কসমেটিক্স, পোল্ট্রি, ফিশ-ফিড, প্রো-বায়োটিক ফিশ ফিড উৎপাদন হবে। অন্যদিকে, বায়োলিপ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স সলিউশান্স লিমিটেড জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট ০২(দুই) একর জমিতে প্রায় ২৪ (চব্বিশ) কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। প্রতিষ্ঠানটি ০১(এক) একর জমিতে ফ্রিজ-ড্রাইড অ্যালোভেরা পাঊডার ও পটেটো স্টার্চ পাঊডার উৎপন্ন করবে। অপর ০১(এক) একর জমিতে প্রস্তুত করবে মেডিক্যাল ও সার্জিক্যাল আইটেম।
এসময় বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান দুটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও নতুন কারখানার নির্মাণকাজের সূচনা দেশের অর্থনীতির জন্য সুখকর। তিনি জানান, সারাদেশে পরিকল্পিত শিল্পায়নের অংশ হিসেবে জামালপুরের এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে খাদ্য ও কৃষি পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা হচ্ছে। তিনি বলেন, এর ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠী দেশের মূলধারার অর্থনীতির চাকার সাথে সম্পৃক্ত হবে এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন উদাহরণ তৈরী হবে।
বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদুল হক বলেন, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানার নির্মাণকাজ শুরু করতে পেরে তারা অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটি যথাশীঘ্র উৎপাদনে যাবে। উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে শতকরা ২০ (বিশ) ভাগ বিদেশে রপ্তানি হবে।
রিলায়েন্স সলিউশান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শফিক কামাল বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র পণ্য উৎপাদন ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেই নয় বরং পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে বিশ্বাসী। এক্ষেত্রে সকল ধরণের সহযোগিতার জন্য বেজাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বেজা সূত্রে জানা যায়, জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস সংযোগ লাইন ও ৩৩/১১ কেভিএ বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা, ভূমি উন্নয়ন, ভূ-গর্ভস্থ পানি সংরক্ষণ, সীমানা প্রাচীর ও অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০০ (একশত) একরের একটি উন্মুক্ত জলাধারও নির্মাণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে বেজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান দুটির প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন।
আরকে//
আরও পড়ুন