ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

অল ইতালীয় সেমির প্রথম লেগে কাল মুখোমুখি দুই মিলান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১২, ৯ মে ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অল ইতালীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে কাল মুখোমুখি হচ্ছে মিলানের দুই চির প্রতিপক্ষ এসি মিলান ও ইন্টার মিলান। স্তাদিও সানসিরোতে আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে হাইভোল্টেজ ওই ম্যাচটি। গত ১৮ বছরের মধ্যে দুই জায়ান্ট ক্লাব কখনো ইউরোপীয় আসরে পরস্পরের মোকাবেলা করেনি।

২০০৪/০৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে পরস্পর পরস্পরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল ইতালীয়  ক্লাব দুটি। কিন্তু দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে ইন্টার মিলানের সমর্থকরা মাঠে আগুনের গোলা  নিক্ষেপ করায়  ফলাফল এসি মিলানের দিকে চলে যায়। তবে এবার সবাই আশা করছে শান্তিময় পরিবেশে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে সবার নজর থাকবে ফুটবলের প্রতি। যদিও দুটি দলই চাইছে গুরুত্বপুর্ন ম্যাচটিতে জয়লাভ করতে। বিশেষ করে পরের মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সরাসরি খেলা নিশ্চিত করার জন্য। এ জন্য সিরি এ’ লিগের উপর নির্ভর করতে হবেনা ফাইনালিস্ট দলকে।

গত সপ্তাহে নাপোলি স্কুদেত্তো নিশ্চত করার পর শনিবার শীর্ষ চারের দল ল্যাৎসিওকে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে হারিয়ে কিছুটা স্বস্তিতে আছে  এসি মিলান। ওই জয়ে দলের অপরাজিত থাকার ধারাকে পৌঁছে দিয়েছে নয় ম্যাচে। যেখানে চার ম্যাচে জয় এবং পাঁচ ম্যাচে ড্র করেছে ক্লাবটি। সেই সঙ্গে ঘরোয়া লিগের পয়েন্ট তালিকার চতুর্থ স্থানে থাকা ইন্টার মিলানের সঙ্গে দুই পয়েন্টের ব্যবধানে চলে এসেছে এসি মিলান।  

চলতি মৌসুমে ট্রফি খরা থেকে মুক্তি পেতে হলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করার কোন বিকল্প নেই এসি মিলানের। সর্বশেষ ২০০৭ সালে  শিরোপা জিতেছিল ক্লাবটি। যদিও এর আগে দুটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচেই ইন্টারের কাছে পরাজিত হয়েছে স্টেফানো পিওলির শিষ্যরা, গোল পায়নি একটিও। ফলে মানষিকতার দিক থেকে খাদের কিনারায় চলে গেছে তারা।  

একই দিন সিরি এ’ লিগের আরেক ম্যাচে ফেদেরিকো ডিমারকো ও রোমেলু লুকাকুর গোলে রোমাকে ২-০ গোলে হারায় ইন্টার মিলান। ওই ফলাফলে নেরাজ্জুরিরা টানা ৫টি ম্যাচে জয়ের ধারায় টিকে থাকে। সবগুলো ম্যাচেই তারা একাধিক গোলে জিতেছ। যে কারনে সিমোন ইনজাগির শিষ্যরা পুর্ন শক্তি নিয়েই মাঠে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে।  

চেলসির পেছনে থেকে ই’ গ্রুপের রানারআপ হিসেবে নকআউট পর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছিল এসি মিলান। ২০১৪/১৫ মৌসুমের পর প্রথম ইউরো আসরের এমন উচ্চতায় পৌঁছাতে পেরেছিল ক্লাবটি। কিন্তু নকআউট পর্বে টটেনহ্যাম হটস্পার্স ও নাপোলিকে হারিয়ে শেষ চারে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে পিওলির শিষ্যরা, যা ছিল তাদের প্রত্যাশারও বাইরে। ২০০৬/০৭ মৌসুমের পর প্রথম সেমি ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেএেসি মিলান।  

এদিকে ইন্টার মিলানও সি’ গ্রুপ থেকে বায়ার্ন মিউনিখের পেছনে থেকে রানার আপ হিসেবে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে। ২০১১/১২ মৌসুমের পর এটি ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাবটির প্রথম নকআউট। ওই পর্বে উঠে আরো সাবলীল  হয়ে উঠে ইনজাগির শিষ্যরা। নকআউট পর্বে প্রথমে প্রিমেরা লিগের পাওয়ার হাউজ বেনফিকা এবং পরে পোর্তোকে হারিয়ে ২০১০ সালের পর প্রথম সেমিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ইন্টার।
কেআই//
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি