অসীম সাহসের প্রতীক বীর শ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৫৪, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম সাহসিকতা আর অসামান্য বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ যে সাতজন বীরকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান বীর শ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয় তিনি তাদের অন্যতম।
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ১৯৪৯ সালের ৭ মার্চ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে তিনি বরিশাল বিএম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন।
১৯৬৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে পড়া অবস্থায় পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন।
পরের বছর ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে কমিশন লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানে ১৭৩ নম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটেলিয়ানে পাকিস্তান-চীন সংযোগকারী মহাসড়ক নির্মাণে কর্তব্যরত ছিলেন। সেই দুর্গম এলাকা থেকে একটিমাত্র পিস্তল নিয়ে স্বাধীনতার জন্য ছুটে এসেছিলেন। ৭ নম্বর সেক্টরে অসীম সাহসে যুদ্ধ পরিচালনা করেন তিনি।
একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর প্রায় ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয় বাংলাদেশে ঢোকেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। অবস্থান নেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পশ্চিমে বারঘরিয়ায়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম বলেন, “১৩ তারিখ রাতে তিনি মহানন্দা নদী অতিক্রম করে চরমোহনপুর দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে এসে উপস্থিত হন। সকাল বেলা শত্রু বাহিনীর সমস্ত বাঙ্কার ধ্বংস করতে তিনি অগ্রসর হচ্ছিলেন।”
১৪ ডিসেম্বর ভোরে মাত্র ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে দেশি নৌকায় রেহাইচর থেকে মহানন্দা নদী অতিক্রম করেন। এমনভাবে আক্রমণ পরিকল্পনা করেছিলেন যেন শত্রু কোনকিছু আঁচ করতে না পারে। জয় যখন সন্নিকটে তখনই ঘটে বিপর্যয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন বলেন, “আমরা যখন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঢুকে পরি, রেহাইচরে যখন সরাসরি বাঙ্কারে চার্জ করে রাজাকার-আলবদরদের মারা হচ্ছে ঠিক সেই সময়ে একটা বাঙ্কার থেকে গুলি করে তাকে হত্যা করে হানাদার বাহিনীর কিছু দোষর।”
১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের মৃতদেহ ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে সমাহিত করা হয়।
এএইচ