অ্যাজমা বাত নিরাময়ে আগর গাছ
প্রকাশিত : ২০:২৮, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২০:৩২, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭
আগর একটি ওষুধী গাছ। এর রয়েছে অনেক গুণ। এই গাছ ব্যবহার করে নানাবিধ অসুখ থেকে আরোগ্য লাভ করার সুয়োগ রয়েছে। এই গাছের গুণাবলি তুলে ধরেছেন ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়ার’ বইয়ে। একুশে টেলিভিশন অনলাইনের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো-
এর কাছ সুগন্ধিযুক্ত হওয়ায় পারফিউম তৈরিতে এটি ব্যাপক ব্যবহৃত হয়।
এছাড়া এর কাণ্ডের কাথ জ্বরনাশক, পাকস্থলীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিকারক, মূত্রবর্ধক, কামোদ্দীপক, বায়ূরোগ এবং রেচক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ ব্রংকাইটিস, এ্যজমা ও বাত নিরাময়ের ক্ষেত্রেও এটি বেশ কার্যকরী।
বাংলাদেশ জাতীয় ইউনানী ফর্মুলারী ১৯৯৩ তে ২৫টি ওষুধে আগুরু ব্যবহারের উল্লেখ কারা হয়েছে। ঔধুধগুলো ক্ষেত্রবিশেষে হৃদকল্প, পাকস্থলীর দুর্বলতা, বমি, ক্ষুধামান্দ্য. দাস্ত, যকৃতের দুর্বলতা, পাকস্থলীর দুর্বলতা, মূত্রাশয়ের দুর্বলতা, অ্যাজমা, বাত, মূতাধিক্য, বক্ক বেদন, কোমর ব্যথা, বৃক্কের দূর্বলতজনিত মূত্রাধিক্য লক্ষণে প্রয়োগ করা হয়।
হিক্কা রোগীকে মধুর সঙ্গে কৃষ্ঞ অগুরু চূর্ণ সেবন করানোর বিধান রয়েছে। কুষ্ঠ কিটিম রোগে অগুরুর তৈল অভ্যঙ্গ করানোর কথা বলা হয়েছে। কাশিতে মধুসহ অগুরু হিক্কা ও শ্বাসে কুষ্ঞগুরুর ধোয়া নাক দ্বারা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
অগুরু রসবহ ও রক্তবহ স্রোতে কর্যকর। কৃষ্ঞাগুরু চন্দনের মতো ঘষে এক চা-চামচ করে সকাল বিকেল খেলে মেদরোগ সারে। এক চা চামচ কৃষ্ঞগুরু ঘষা হালকা গরম পানি এক কাপসহ খেলে মেহ, হাঁপানি ও পান্ডুরোগে উপকার হয়। অগুরু ঘষে গায়ে মাখলে চুলকানি ছুটি ও ঘামাচি নিরাময় হয়। বাংলাদেশ জাতীয় আয়ুর্বেদিক ফর্মূলারী ১৯৯২ তে ১০টি ওষুধে অগুরু গাছ উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করার উল্লেখ করা হয়েছে। ওষুধগুলো বিভন্ন ক্ষেত্রে যথা মুখদৌর্গন্ধ, হৃদরোগ. পান্ডু, প্রমেহ, অর্শ, শ্বিত্র, কুষ্ঠ, প্রমেহাশ্রিত বাতরোগ, ধ্বজভঙ্গ, পিত্তদুষ্টি, রক্তদুষ্টি, জরায়ুদোষ, রাজোদুষ্টি, শুক্রদোষ প্রশমক হিসেবে প্রয়োগ করা হয়।
ক্ষেত্রবিশেষে হৃদকম্পন, পাকস্থলীর দুর্বলতা, বমি, ক্ষুধামান্দ্য, দাস্ত, যকৃতের দুর্বলতা, পাকস্থলীর দুর্বলতা, মুত্রাশয়েল দুর্বলতা, মুত্রধিক্য, বক্ক বেদন, কোমর ব্যথা, বৃক্কের দুর্বলতাজনিত মুত্রাধিক্ক লক্ষণে প্রয়োগ করা হয়।
পরিচিতি- আগর একটি চিরসবুজ বিরাট বৃক্ষ, উচ্চতায় ১৫-২০ মিটার বা সময়ে ৪০ মিটার পর্যন্ত হয়। পাতা শাখার উভয় দিকে যুগ্মভাবে জন্মে, বর্শাফলাকৃতি আট সেন্টিমিটার লম্বা দেখা যায়। একই পুষ্পদণ্ডে সাদা রঙের অনেক ফুল হয়। পাপড়ি অবনত, পাঁচ সেন্টিমিটার লম্বা ফল নরম তিন থেকে চার সেন্টিমিটার লম্বা। পাতা হালকা পামড়ার মতো। ফুল সাদা ও খুবই ছোট। ফল ডিম্বাকৃতির চার থেকে সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।
এসএইচ/