অ্যাপ ছাড়াই সস্তায় মেলে, গুরুত্ব হারাচ্ছে পদ্ধতিটি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৫৪, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১১:৫৯, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারের অবস্থা আবারও জেরবার। চরম অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তি বেড়েছে যাত্রীদের। চালকেরা দুষছেন কোম্পানিকে। আর প্রতিষ্ঠান বলছে, যাত্রীবান্ধব সেবা আছে অব্যাহত।
যাত্রীদের নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতে রাইড শেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা হয় ২০১৮ সালে।
১৮টি কোম্পানির মাধ্যমে নিবন্ধন হয়েছে ২৯ হাজার ৬শ’ ১৮ মোটরযান। কিন্তু অ্যাপের মাধ্যমে আর চলে না সেসব যানবাহন। উপরন্তু গন্তব্যে ফেরা যাত্রীদের সঙ্গে চলে দরকষাকষি।
যাত্রীদের অভিযোগ, এমন অবস্থার সৃষ্টি হয় যে অ্যাপস পাওয়া যাচ্ছে না, সময়ের স্বল্পতা। তখন আমাদের কন্ট্রাকে যেতে হয়।
কোম্পানিগুলো বেশি কমিশন নেয়ায় আগের মতো লাভ হচ্ছে না। যে কারণে অ্যাপের মাধ্যমে যান চালানোর আগ্রহ হারিয়েছেন তারা, অভিযোগ নিবন্ধিত চালকদের।
চালকরা বলেন, “সব গাড়ি চলে কন্ট্রাকে। আপসে কল আসছে না, কন্ট্রাকে যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে বেশি। অ্যাপসের কমিশন দেয়ার পরে যা থাকে তাতে জ্বালানির দাম দেয়ার পর আর কিছু থাকে না।”
অ্যাপ ছাড়াই সস্তায় মেলে মোটরবাইক কিংবা গাড়ি। পদ্ধতিটি তাই গুরুত্বহীন এখন যাত্রীদের কাছে।
কয়েকজন যাত্রী বলেন, “যখন অ্যাপস ছাড়া যাই, তখন কিছুটা কমে যেতে পারছি। সেই সঙ্গে দ্রুতও যাওয়া যায়। অ্যাপসের সেটিংয়ে সমস্যা রয়েছে, সচরাচর পাওয়া যায় না।”
কোম্পানিগুলো বলছে, নীতিমালার প্রতি আস্থা রেখেই সেবা দিতে চান তারা।
‘ওভাই’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহিদ ইশতিয়াক চৌধুরী বলেন, “আইনগত দিক থেকে বলেন, যাত্রীর সেফটি সিক্যুরিটির কথা বলেন- সবকিছুর দিক বিবেচনা করলে অ্যাপসের মাধ্যমে চলা উত্তম। আমরা চাই, আরও বেশি যাত্রী রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে যাতায়াত করুক।”
বিআরটিএ বলছে, নীতিমালা না মানলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের পরিচালক (রোড সেফটি) শেক মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, “নীতিমালা করেছি যাতে সবাই আইনের মধ্যে থাকে, গাইডলাইনের মধ্যে থাকে, শৃঙ্খলা বজায় থাকে। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকলে তা আমাদের কাছে দায়ের করতে পারে। তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
যাত্রী, চালক ও প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় থাকলে রাইড শেয়ারিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারতো রাজধানীর ব্যস্ততম জীবনে।
এএইচ