ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আউটসোর্সিংয়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার আয়ের পরিকল্পনা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৮, ১৪ জুন ২০২১ | আপডেট: ১৩:৩০, ১৪ জুন ২০২১

আউটসোর্সিং খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকার জনগোষ্ঠীর আর্থিক স্বচ্ছলতায় কাজ করছে বেশকটি প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারও এখাত থেকে আয় করতে চায় ৫ বিলিয়ন ডলার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উন্নত দেশে স্থাপিত দূতাবাসগুলোকে কাজে লাগাতে পারলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে না।

রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও বেসরকারি খাতের প্রচেষ্টায় গত এক দশকে অর্থনৈতিক নানা সূচকে দারুণ সফল বাংলাদেশ। মাথাপিছু আয়, রেমিট্যান্স প্রবাহ, উচ্চ শিক্ষার সুযোগ, মেধা-শ্রমে এশিয়ার অনেক দেশই এখন বাংলাদেশের পেছনে।

আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং, যাকে মোটাদাগে অনলাইন প্রফেশন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার অবদানও জাতীয় অর্থনীতিতে নেহায়েত কম নয়। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রচেষ্টা বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতই পেশাটির মূল চালিকাশক্তি। তবে সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে এখাতে।
  
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ড. তানজিবা রহমান বলেন, ফ্রিল্যান্সার হওয়ার পরে যে সমস্যাগুলো আমরা ফেইজ করি, সেগুলো হচ্ছে জটিল ব্যাংকিং সিস্টেম সমস্যা, পেমেন্ট ট্রান্সফারের জটিলতা, এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব।

বাংলাদেশের আউটসোর্সিং খাতকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে প্রয়োজন দূতাবাসগুলোকে কাজে লাগানো। বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও দেশীয় উদ্যোক্তাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে দিতে পারে দূতাবাসগুলো।
 
এসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং- বাক্কো’র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, তারা যদি আমাদেরকে প্রমোট করতে পারে তাহলে কিন্তু অ্যাম্বাসিতে আলাদা একটি ডেস্কের প্রয়োজন হবে। যে ডেস্কের কাজ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশকে প্রমোট করা এবং নতুন যে ইনভেস্টমেন্ট আসবে তার সঙ্গে বেইজ হিসেবে কাজ করা।

একইসাথে তরুণ বা নতুন প্রজন্মকে এ পেশায় আকৃষ্ট করতে পাঠ্য বইয়ে আউটসোর্সিং, কল সেন্টার বা ফ্রিল্যান্সিং অন্তর্ভুক্ত করা গেলে ভাল ফলাফল পাওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।  

তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ফিলিপাইন তাদের এডুকেশন সিস্টেমে আইটি কারিকুলামগুলো সংযুক্ত করেছে। যখন স্টুডেন্টরা গ্রাজুয়েশন শেষ করছে তখন তারা অভিজ্ঞতা নিয়ে বের হচ্ছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটা পরিবর্তন আনা উচিত, লেখাপড়ার কারিকুলামের সাথে চাকরির কারিকুলামের কিছুটা সামঞ্জস্য থাকলে কাজ করতে সুবিধা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানালেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে দ্রুতই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। তথ্য-প্রযুক্তি সেবার সুবিধা ছড়িয়ে দিতে নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০২৫ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন ডলার আইটি সেক্টর থেকে রপ্তানী আয় করা এবং আমাদের স্থানীয় শিল্পে আইসিটির যে চাহিদা বেড়েছে সেটাকেও ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করা।

দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তি তৈরি হলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম বড় উৎস হয়ে উঠবে আউটসোর্সিং খাত। এমনটাই প্রত্যাশা সকলের। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি