আওয়ামী দোসর এ কে আজাদের ডিগবাজি!
প্রকাশিত : ২২:৪৫, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ২২:৫২, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছিলেন এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য একে আজাদ। সম্প্রতি ভোল পার্টে তিনি অন্তর্বর্তীকালীণ সরকারের সমর্থক হিসেবে নিজেকে আবির্ভূত করার চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, একে আজাদ বিভিন্ন সভায় অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রশংসা করে বক্তব্য দিচ্ছেন। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) এক সভায় তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরে দেশে কত গুম হয়েছে তার হিসাব নেই।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, তার এক বন্ধু রাকসামের বিএনপির নেতা ছিলেন, তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে র্যাব উঠিয়ে নিয়ে হত্যা করেন।
তার এই বক্তব্যের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বইছে। নেটিজেনদের দাবি, তিনি আবারও ক্ষমতার কাছাকাছি থেকে লুটপাট করতে চান।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এভাবে আসলে ফ্যাসিস্টদের দোসররা নিজেদের আড়াল করে আবার লুটপাটে সামিল হতে চাইছেন। একে আজাদ ১৬ বছর ধরে হাসিনার কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে এখন বলছেন, হাসিনা স্বৈরাচার, খুনী।
এই আজাদ হাসিনার পা চেটে কি সুবিধা নেননি? তিনি এফবিসিসিআইয়ের সভপতি হয়েছেন। এমপি হয়েছেন। নোয়াবের সভাপতি হয়েছেন। নিয়েছেন ব্যবসায়িক সুবিধা।
হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন আগে শীর্ষব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করেছিলেন। সেখানেও শেষ পর্যন্ত হাসিনার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। সুবিধা নেওয়ার সময় নিয়েছেন। চেটেছেন স্বৈরাচারের পা।
অথচ স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার পর ৭ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তাদের হাসিনাকে সমর্থন দেওয়া ছাড়া নাকি উপায় ছিল না। তাদের ঘাড়ে একটা মাথাই ছিল। ওই সংবাদ সম্মেলনে একে আজাদও হাসিনার সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।
ওইদিন ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে এক সভায় এফবিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের কর্ণধার একে আজাদ বলেছিলেন, অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন আপনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আপনাকে বারবার দরকার।
পদ্মাসেতু সম্পর্কে বলতে গিয়ে হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এটা শুধু ইট-সুরকির সেতু নয়। এর মধ্যে রয়েছে আপনার অনেক আবেগ, অনেক ভালোবাসা, অনেক ডিটামিনেশন।
স্বৈরাচার হাসিনার পদলেহনকারী আজাদ শেষদিন পর্যন্তও হাসিনাতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে যুদ্ধ করেছেন। অথচ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার একদিন পর ৭ আগস্ট তিনি বললেন, ইউনূস সরকারের প্রতি ব্যবসায়ীদের সমর্থন আছে।
উল্লেখ্য, আজাদ ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে ফরিদপুরে ভোট করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি হাসিনার নির্দেশেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করে বিজয়ী হন।
তিনি যে হাসিনার নির্দেশেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করেন তার প্রমাণ ভোটের একদিন পর ৯ জানুয়ারি তিনি বলেন, নেত্রী মনে করলে বিরোধী দল গঠন করব।
এসএস//
আরও পড়ুন