আকস্মিকভাবে ব্লাড প্রেশার কমলে করণীয়
প্রকাশিত : ১৬:১৯, ১৬ আগস্ট ২০১৮
ব্লাড প্রেশার বা রক্তচাপ অতিরিক্ত কমে গেলে মস্তিষ্ক, কিডনি, হৃৎপিণ্ডে ঠিক ভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে না। ফলে বুক ধড়ফড় করে, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, চোখে অন্ধকার ঘনিয়ে আসা, বমি ভাব, স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। যেখানে সেখানেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, অনেকেরই ধারণা, উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে নিম্ন রক্তচাপ কম ভয়ের। প্রথমেই এই মিথ্যা ভেঙে ফেলা উচিত। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে রোগী সহজেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হতে পারেন। তা বলে নিম্ন রক্তচাপের বেলায় তাকে অবহেলা করার কোনও কারণ নেই। কারণ, হৃদযন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলে নিম্ন রক্তচাপও। তবে দীর্ঘ দিন ধরে রক্তচাপ কম থাকলে অন্য কোনও অসুখের উপসর্গও হতে পারে। তাই এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে জেনে রাখা ভাল, হঠাৎ রক্তচাপ কমে গেলে ঘরোয়া কী কী উপায় অবলম্ব করা উচিত।
চিকিৎসকদের মতে, এমন হলে প্রথমেই নুন-চিনির পানি দিন রোগীকে। এক গ্লাস জলে ২-৩ চা চামচ চিনি ও এক চা চামচ নুন মেশান। নুনের সোডিয়াম ও চিনির শর্করা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তবে ডায়াবেটিসের রোগী হলে চিনি বাদ দিয়ে বেশি করে নুন-পানি খান। যেদিন এমন হবে, পারলে সেই দিনটা সব খাবারের মাঝেই রাখুন নুন-চিনির পানি।
রোগীর ঘাড়ে, কানের লতির দু’পাশে ও চোখে-মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন। এতে তিনি অনেকটাই সুস্থ বোধ করবেন। স্নায়ুগুলি আরাম পাবে।
শরীরে প্রোটিন কমলেও রক্তচাপের উপর তার প্রভাব পড়ে। দুধ ও ডিমে হাই প্রোটিন। তাই এমন হলে রোগীকে পথ্য হিসাবে দিন ডিম ও দুধ। মূলত ডিমের কুসুম।
কফি প্রেশার বাড়াতে খুব কার্যকর। ক্যাফিন আছে এমন পানীয় তাড়াতাড়ি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই তা কমে গেলে কড়া করে খফি খেতে দিন রোগীকে।
বাড়িতে যষ্টিমধু থাকলে এই অবস্থায় তা খুব কাজে আসবে। এক কাপ জলে ১০০ গ্রাম যষ্টিমধু মিশিয়ে রেখে দিন। ২-৩ ঘণ্টা পর জলটি খেতে দিন রোগীকে। যষ্টিমধু রক্তকে শুধু পরিশুদ্ধই করে না, বরং রক্তচাপের ভারসাম্যও বজায় রাখে।
সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা
আরকে//