আগামীতে ক্ষমতায় এলে প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে
প্রকাশিত : ১২:৩৯, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৫২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-বিএসএমএমইউতে এক হাজার শয্যার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও ডক্টরস ডরমেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই বিএসএমএমইউ প্রতিষ্ঠা করি। তখন অনেক বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্য ছিল দেশের মানুষ সুলভে সুচিকিৎসা পাবে, সেটি নিশ্চিত করা। বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেটিও বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল।
জাতির পিতা প্রতিটি উপজেলায় ১০ বেডের হাসপাতাল করে দিয়েছিলেন। আমরা ক্ষমতায় এসে সেগুলো ১০০ শয্যায় উন্নীত করি। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌছে দিতে কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক গড়ে তুলি। বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেগুলো বন্ধ করে দেয়।
দেশের প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হয়েছে। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তুাবও আজ পার্লামেন্টে উঠবে। সেটি পাশও হয়ে যাবে। আমার লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি বিভাগে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা। জানি না সেটি করতে পারবো কি-না। এই মেয়াদে তো আর করা সম্ভব হবে না। ফের ক্ষমতায় এলে তা বাস্তবায়ন করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে সেগুলোর অধীনে আনা হবে মেডিকেল কলেজগুলো। শুধুমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকবে। বাকিগুলো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় থাকবে।
ইতোমধ্যে ৫টি মেডিকেল কলেজ নতুন করে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নওগা, নীলফামারি, মাগুরায়ও মেডিকেল কলেজ করা হচ্ছে। চাঁদপুরেও একটি মেডিকেল কলেজ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে চিকিৎসা সেবায় সেন্টার অব এক্সসিলেন্স। চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণায় গুণগত মানোন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যখন বিশ্ববিদ্যালয় করি তখন একটি ফান্ড করে দিয়েছিলাম। এটি দিয়ে দরিদ্রদের ভালোভাবে চিকিৎসা দেওয়া যায়। তখন আমি ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলাম। এখন আরও ১০ লাখ টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি। যেন দেশের দরিদ্র অসহায় মানুষগুলো সুচিকিৎসা পায়।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচারর্য, প্রো উপাচার্যসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
/ এআর/
আরও পড়ুন