ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

আজ ঐতিহাসিক ১৪ মার্চ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫১, ১৪ মার্চ ২০১৮

একাত্তরের অগ্নিঝরা মার্চের এইদিন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি মিছিল, সমাবেশে ঢাকার রাজপথ মাতিয়ে রাখে বিভিন্ন শ্রমিক ও পেশাজীবী সংগঠন। পূর্ব বাংলার সম্পদ পাচার ঠেকাতে বিভিন্ন পয়েন্টে প্রতিকী চেকপোস্ট বসায় আন্দোলনকারীরা। বঙ্গবন্ধুর সাথে বৈঠক করেন পশ্চিম পাকিস্তানের অন্যতম নেতা ন্যাপ প্রধান আব্দুল ওয়ালী খান। অন্যদিকে জোরালো হয় অস্থায়ী সরকার গঠনের দাবি।
মার্চের প্রথম থেকেই এক এক করে পশ্চিম পাকিস্তানিদের একছত্র কর্তৃত্ব আর দম্ভের ভীত গুড়িয়ে দিতে থাকে মুক্তিপাগল বাঙালিরা। আর ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর বস্তুত পশ্চিম পাকিস্তাানের কোন আদেশ নির্দেশই কার্যত পালন হচ্ছিল না।
পরিস্থিতি সামলাতে, এদিন ঢাকায় আসেন, ন্যাপ প্রধান আব্দুল ওয়ালী খান। বঙ্গবন্ধুর সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাকে পাকিস্তানের ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী বলে অভিহিত করেন ওয়ালী খান।
স্বাধীনতার দাবিতে অনড় কৌশলী বঙ্গবন্ধু ৩৫ দফা নির্দেশনামা জারি করেন। আর কাংঙ্খিত মুক্তির দাবিতে আহবান জানান অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার।
স্বাধীনতার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রেলওয়ে, বিমান শ্রমিক এবং বাংলা একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। পশ্চিম পাকিস্তানে সম্পদ পাচার ঢেকাতে রাস্তার মোড়ে প্রতিকী পাহারা বসায় ছাত্র নেতারা। রাজপথে নেমে আসেন পূর্ব বাংলার সাংবাদিকরা সমাজও।
বঙ্গবন্ধুর নির্দেশই হয়ে উঠে বঞ্চিত বাঙ্গালীর অলিখিত সংবিধান।
চাঙ্গা হতে থাকে আন্দোলন, রণাঙ্গনের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে বাঙালি জাতি।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি