আজ জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস
প্রকাশিত : ০০:০১, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ০০:০৩, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১
আজ মঙ্গলবার জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। করোনার কারণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগেও নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে দিবসটি পালিত হবে। জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘টেকসই উন্নয়ন-সমৃদ্ধ দেশ, নিরাপদ খাদ্যের বাংলাদেশ’। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী সোমবার পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
এ দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার আন্দোলন বাংলাদেশ’র উদ্যোগে সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে র্যালি-উত্তর মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, ‘অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণ অব্যহত থাকলে ভবিষ্যত প্রজন্ম কাক্সিক্ষত মাত্রায় উৎপাদনশীল ক্ষমতা অর্জনে ব্যর্থ হবে। এজন্য আগামীতে জাতি হিসেবে আমাদের মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সেই সাথে ভয়াবহ হুমকিতে পড়বে প্রজন্মের উৎপাদনশীল ক্ষমতাও।’
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) জানায়, তাদের কার্যক্রম সর্বসাধারণকে অবহিতকরণ এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিষয়ে সর্বস্তরে জনসচেতনতা বৃদ্ধিই এ দিবসের প্রধান লক্ষ্য। নিরাপদ খাদ্যের অন্যতম প্রধান শর্ত ট্রান্সফ্যাট মুক্ত খাবার এবং এলক্ষ্যে সংস্থাটি সবধরনের ফ্যাট, তেল এবং খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা মোট ফ্যাটের ২ শতাংশ নির্ধারণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা জনস্বাস্থ্যের নিরিখে অত্যন্ত সময়পোযোগী পদক্ষেপ।
ট্রান্সফ্যাটি এসিড (টিএফএ) বা ট্রান্সফ্যাট একটি পুষ্টিগুণ বিবর্জিত খাদ্য উপাদান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে ট্রান্সফ্যাট ঘটিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ডব্লিউএইচও’র ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী, খাদ্যে ট্রান্সফ্যাট গ্রহণের কারণে বাংলাদেশে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বছরে ৫ হাজার ৭৭৬ জন মানুষ মারা যায়। খাদ্যে ট্রান্সফ্যাটের প্রধান উৎস পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল বা পিএইচও, যা ডালডা বা বনস্পতি ঘি নামে সুপরিচিত। পিএইচও বা ডালডা সাধারণত বেকারি পণ্য, প্রক্রিয়াজাতকৃত ও ভাজা পোড়া স্ন্যাক্স এবং হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সড়কসংলগ্ন দোকানে খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় ঢাকার পিএইচও নমুনার ৯২ শতাংশে ডব্লিউএইচও সুপারিশকৃত ২ শতাংশ মাত্রার চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট (ট্রান্সফ্যাটি এসিড) পাওয়া গেছে। প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্সফ্যাটের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে, যা ডব্লিউএইচও’র সুপারিশকৃত মাত্রার তুলনায় ১০ গুণেরও বেশি।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস- উপলক্ষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য সকলের অধিকার। আমরা জেনেছি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ট্রান্সফ্যাট নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই নীতি চূড়ান্ত এবং বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসি