ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আজ বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৯, ২৪ মার্চ ২০২০

আজ ২৪ মার্চ ‘বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস’। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘এখনই সময়’। যক্ষ্মা রোগের ক্ষতিকর দিক বিশেষ করে স্বাস্থ্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই রোগটি নির্মূলে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।

১৮৮২ সালের এই দিনে ড. রবার্ট কোচ যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার এবং এর রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ উন্মোচন করেন। তাকে স্মরণ করেই এই দিনটিতে যক্ষ্মা দিবস পালিত হয়ে আসছে।

যক্ষ্মা এখনো বিশ্বের দশটি মৃত্যুজনিত কারণের মধ্যে অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিদিন বিশ্বে চার হাজার মানুষ যক্ষ্মা রোগে মারা যান এবং ৩০ হাজার আক্রান্ত হন। তবে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় ২০০০ সাল থেকে ৫৮ মিলিয়ন মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। ২০১৮ সালে সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যক্ষ্মা রোগ নির্মূলে বিশ্বে নেতৃবৃন্দ একমত হন। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সরকার, সুশীল সমাজ, বিভিন্ন সংস্থা, স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যক্ষ্মা রোগী খুঁজে সবাইকে চিকিৎসা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

যক্ষ্মা এখনো বড় একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি যে কারোরই হতে পারে। যক্ষ্মারোগীর কাছাকাছি থাকেন, এমন ব্যক্তি, যেমন পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক, নার্স বা সেবা-শুশ্রূষাকারীর আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, মাদকাসক্তি, বার্ধক্য, অপুষ্টি ইত্যাদি যক্ষ্মার ঝুঁকি বাড়ায়। যাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম, যেমন এইডস রোগী, দীর্ঘ মেয়াদে স্টেরয়েড বা ইমিউনোথেরাপি ওষুধসেবীরাও যক্ষ্মার ঝুঁকিতে আছেন।

শতকরা ৮৫ ভাগ যক্ষ্মা ফুসফুসে হয়ে থাকে। ফুসফুসের আবরণী, লসিকাগ্রন্থি, মস্তিষ্ক ও এর আবরণী, অন্ত্র, হাড় বা ত্বকেও হতে পারে যক্ষ্মা।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি