ঢাকা, শনিবার   ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৩, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৩:০০, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

আজ বেদনার দিন ১৪ ডিসেম্বর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বাঙালির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস সম্মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে।

দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হাত-পা-চোখ বাঁধা ক্ষতবিক্ষত লাশ আজও অশ্রু ঝরায় স্বজন আর পুরো বাংলাদেশের চোখে। তাই বিনম্র এবং শ্রদ্ধায় আজ জাতি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে। দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।

দীর্ঘ ৯ মাসের সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় চলে আসছিল। নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে জাতিকে মেধাশূন্য করতে নিষ্ঠুর পরিকল্পনা সাজায় হানাদার বাহিনী। তাই তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের সহযোগিতায় একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর বহু গুণীজনকে ঘর থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাণীতে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে শহীদদের স্মরণ করে তাঁদের বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন তারা।

রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের, যারা ১৯৭১ সালে বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদারবাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন। আমি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শহিদ বুদ্ধিজীবীদের মহান ত্যাগকে স্মরণ করে ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি বলেন, বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।’

একে // এআর

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি