ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

আটা-ময়দার দাম বাড়তি, প্রভাব পড়েছে চালের বাজারে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৫, ১৮ মে ২০২২

ঈদুল ফিতরের পর থেকে সারাদেশেই বেড়েছে আটা-ময়দার চাহিদা। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে গম আমদানি বন্ধ থাকায় বেড়েছে গমের দাম। এর জেরেই আটা-ময়দার বাজার অস্থির।

কেজি প্রতি আটার দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। আর ময়দার দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।

দেশের খুচরা বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় এবং ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা দরে। 

অথচ সপ্তাহখানেক আগেও প্রতি কেজি আটা বিক্রি হয়েছে ৩৬-৩৮ টাকা এবং ময়দা ৪৮-৫০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন ৯০০ টাকা মণ গম এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। গম থেকেই আটা হয় সেজন্য আটার দামও ঊধ্বমূখী। 

পাইকারি বাজারে এখন মানভেদে প্রতি ৫০ কেজি আটার বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকায়। একটু ভালো মানের আটা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ২৫০ টাকায়। 

গম ব্যবসায়ীরা বলছেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গমের আমদানি কম। তবে, রমজানে চাহিদা কম থাকায় দাম তেমন বাড়েনি। এ ছাড়াও, ভারত থেকে গম আসছিল। এখন ভারত থেকে দাম বাড়নো হচ্ছে এবং আমদানি বন্ধ আছে বলে দাম বেড়ে চলেছে। গম আমদানি কমতে থাকলে দাম আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। 

এদিকে আটা ময়দার খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, মিল থেকে দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বেশি দামে আটা কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামেই।

এদিকে গমের বাজারের অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে চালের বাজারেও। আটা-ময়দার সঙ্গে বেড়েছে সব ধরনের চালের দামও।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ রাজধানীর অন্যান্য বাজারে দেখা গেছে সপ্তাহের ব্যবধানে  মিনিকেট, নাজিরশাইল ও মোটা চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে।

পাইকারিতে দাম বাড়ার কারণে খুচরা পর্যায়ে কেজিতে গড়ে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে। গত দুই-তিন দিনের ব্যবধানে দুই টাকা বেড়ে মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকায়।

বিআর-২৮ ও পায়জাম জাতীয় চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়। মোটা চালের দামও কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। এই চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায়; যা তিন দিন আগেও কেনা গেছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকায়।

বাজারের বেশিরভাগ ভোগ্যপণ্যেরই দাম বাড়তি, এর মাঝে আবার চালের দাম বাড়ায় ক্ষোব জানান ক্রেতারা। 

একজন ক্রেতা বলেন, "কষ্ট বাড়ছে গরিব মানুষের। সরকার বাজারে নামকাওয়াস্তে অভিযান চালাচ্ছে। এর কোনো সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ।"

চালের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, গম আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। এর চাপ পড়েছে চালের বাজারে। তা ছাড়া মিলাররা সরকারকে চাল দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

যেকারণে চালের সংকট তৈরি হচ্ছে। এসব কারণে দাম বাড়ছে বলে দাবি করছেন চাল ব্যবসায়ীরা। 

এদিকে দেশে বোরো ধান কাটা শেষ, সরকারিভাবে ধান সংগ্রহও চলছে চলতি মে মাসে। ২৭ টাকা কেজি দরে ধান কেনা হচ্ছে এবার।

সাধারনত নতুন ধান উঠলে বাজারে চালের দাম কমে। মিনিকেট ৫০ কেজির বস্তা ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকার মধ্যে নামে। কিন্তু এবার মিনিকেটের দামও কমেনি।

ব্যবসায়ীরা বলছেন আপাত দৃষ্টিতে দাম স্থিতিশীল দেখা গেলেও নতুন মওসুম বিবেচনায় দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে।

চালের বাজারের এই অস্থিরতা আরও বাড়াতে পারে সম্প্রতি চলমান বন্যা, এমনটাই আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি