ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আতঙ্কের নতুন নাম নাইল ভাইরাস

প্রকাশিত : ১৩:১০, ১৯ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ১৩:১৬, ১৯ মার্চ ২০১৯

নাইল ভাইরাসের কবলে পড়ে সোমবার ভারতের কেরালা রাজ্যের কোঝিকোড়ে মৃত্যু হয়েছে সাত বছরের এক শিশুর। তারপর থেকেই এই ভাইরাস নিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। আসুন এক ঝলকে দেখে নেই এই ভাইরাস সম্পর্কে কিছু তথ্য।

নাইল ভাইরাস কী?

ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস বা ডব্লিউএনভি। এটাই নাইল ভাইরাসের পুরো নাম। এটি একটি মশাবাহিত রোগ। সাধারণত কিউলেক্স মশা থেকে এই রোগ ছড়ায়। মূলত পাখির দেহ থেকে মশার মাধ্যমে এই ভাইরাস ঢোকে মানুষের শরীরে। আফ্রিকা, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবথেকে বেশি।

এই ভাইরাসের আক্রমণে কী হয়?

ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের মারাত্মক কোনও লক্ষ্মণ দেখা যায় না। এই ভাইরাসের আক্রমণে প্রাথমিকভাবে জ্বর আসে, মাথা যন্ত্রণা হয়, গায়ে র‌্যাশও বেরোতে দেখা যায় কারও কারও ক্ষেত্রে। এ ছাড়া গ্ল্যান্ডের সমস্যাও দেখা যায়। এই লক্ষ্মণগুলি কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।

সব থেকে বেশি বিপদ হয়  কখন?

নাইল ভাইরাস যদি কোনও ক্রমে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায় তাহলেই বিপদ। মস্তিষ্কে পৌঁছলেই ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই সংক্রমণ হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি সেই সংক্রমণ মস্তিষ্ক ছাড়িয়ে পড়ে সুষুম্নাকাণ্ডে। যার জেরে মানবশরীরের স্নায়ুতন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে।

কাদের বিপদ বেশি?

যে সব মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তারা সহজেই এই রোগের শিকার হন। সাধারণত শিশু ও বয়স্ক মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। তাই শিশু ও বয়স্কদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবথেকে বেশি।

ওযুধ কী?

মানুষের দেহে এই রোগ হলে তা নিরাময়ের কোনও ওষুধ বা ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত নেই। স্নায়ুতন্ত্র যাতে পুরোপুরি বিকল হয়ে না পড়ে সে জন্য নিউরো-ইনভেসিভ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।

সঙ্গে বিভিন্ন লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের মাধ্যমে ওই রোগের মোকাবিলা করা হয়। তাই এই রোগ থেকে বাঁচার সবথেকে ভাল উপায় মশার কামড় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি