ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আতঙ্ক কাটেনি শুটকিপল্লীতে (ভিডিও)

দিপু সিকদার

প্রকাশিত : ১২:৩৩, ২৮ নভেম্বর ২০২১

সুন্দরবন দস্যমুক্ত হলেও আতঙ্ক কাটেনি শুটকিপল্লীতে। এখনও বন্ধ হয়নি চরের মহাজন আর সুদ কারবারিদের নির্যাতন। নেই কোনো সরকারি সহায়তাও।

দুবলারচর, বাংলাদেশের বৃহত্তম শুটকিপল্লী। পাঁচ মাসের জন্য সমুদ্র পারের শুটকিপল্লীতে কাজে আসেন শত শত জেলে আর শ্রমিক।

কয়েক মাস চলে মাছ ধরা। অতপর এসব কাঁচা মাছ রোদে শুকিয়ে চলে শুটকি বানানোর কাজ।

শ্রমিকরা জানান, এই জায়গায় পাঁচ মাসের জন্য এসেছি। পাঁচ মাস ধরে মাছ ধরতে হবে। মাছ শুকিয়ে সৈয়দপুর বা চট্টগ্রামে চালান করি। আমাদের সবকিছুই এই মাছের উপর নির্ভর করে।

বঙ্গোপসাগরের জেলেদের মাঝে প্রবাদ আছে- ‘যার ভাগ্য যত ভালো তার জালে মাছ তত বেশি’। লাভ-লোকসানের হিসেব গুণতে তাই অপেক্ষা করতে হয় বেশ ক’মাস।

জেলেরা জানান, আমাদের সীমানায় ঢুকে ভারতের জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। শত শত বোট এসে জোরপূর্বক মাছ ধরছে, করার কিছুই নেই।

সরকারি সহায়তা নেই। বেশির ভাগ জেলের টানতে হয় সুদের ঘানি। 

জেলেরা আরও জানান, আসার সময় মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে আসতে হয়েছে। যদি মাছে লাভবান হতে পারি তাহলে তো ঋণ থেকে মুক্ত হলাম, আর না পারি তবে সুদ টানতে হবে।

আছে মহাজনী শোষণ, কারও ভাগ্যে জোটে নির্যাতন।

জেলে শ্রমিকরা জানান, কোন প্রক্রিয়ায় কি করতে হবে সবকিছু নখদর্পণে। এই যে আপনার সঙ্গে কথা বলছি, তাতে চর ছেড়ে চলেও যেতে হতে পারে। কিন্তু আমি তো বিবেকের দংশনের জন্য এই কথাগুলো বলছি।

অসুস্থ হলেও শুটকি শ্রমিকদের দেয়া হয় না কোনো চিকিৎসা। 

দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন বলেন, ভাসমান থেকে আরম্ভ করে পাঁচ-ছয় মাস স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার জেলে থাকে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করেছি কিন্তু সরকার বলছে এখানে ডাক্তার এসে থাকতে চায় না। এরপরে আমরা এনজিও’র সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাদেরকে আশ্বাস দিলেও কোন কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।

সব ধরণের নিরাপত্তা চান শুটকিপল্লীর জেলে শ্রমিকেরা।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি