আদালতে শুনানীর সময়েই আইনজীবীকে শ্বাসরোধের চেষ্টা
প্রকাশিত : ১৬:০৪, ৩ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ১৬:০৬, ৩ জুলাই ২০২৪
মারধরের শিকার আইনজীবী ছিলেন মোঃ মনির হোসেন
ঢাকার সিএমএম আদালতে বিচারকের সামনেই বাদিপক্ষের আইনজীবীকে আসামীপক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে গলার টাই আটকে শ্বাসরোধের চেষ্টাসহ মারধরের অভিযোগ ওঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২ জুলাই ২০২৪) ঢাকার বিজ্ঞ সিএমএম সাহেবের ৩নং আদালতে জি ওয়াই ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের হেড অব একাউন্টস মোঃ সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের শুনানি হয়।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, মোঃ সালাউদ্দিন আহমেদ গত ১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ থেকে ৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানের ৬১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপন করে। এবিষয়ে প্রতিষ্ঠান মালিকের পার্সোনাল সেক্রেটারী হাফসা করিম বনানী থানায় মামলা করেন।
শুনানিতে বাদি পক্ষ জি ওয়াই ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের নিয়োজিত আইনজীবী ছিলেন মোঃ মনির হোসেন। আর আসামী পক্ষে ছিলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুনসহ আরও ১০জনের বেশি জুনিয়র আইনজীবী।
বাদি পক্ষ জানান, প্রথমে আসামি পক্ষে জামিন আবেদন শুনানি করেন অ্যাড. মিজানুর রহমান মামুন। পরবর্তীতে বাদি পক্ষের আইনজীবী মোঃ মনির হোসেন আসামীর জামিনের বিরোধিতা করেন। এতে আদালতের মধ্যে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আসামী পক্ষের সকল আইনজীবী। একপর্যায়ে আসামী পক্ষের অ্যাড. রানা সরদার, অ্যাড. সাকিল বাদিপক্ষের আইনজীবী মোঃ মনির হোসেন এর টাই ধরে টেনে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা চেষ্টা করে! মারধর করে টেনে হেঁচড়ে আদালতের বাহিরে নেওয়ার চেষ্টা করে।
জি ওয়াই ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ হাবিুবর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এসময় উপস্থিত আদালত আসামী পক্ষের উশৃংখল আইনজীবীদের আটক করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা আমাদের আইনজীবীকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে দ্রুত আদালতের বাহিরে চলে যায়। পুরো ঘটনা ঘটেছে আদালত চলাকালে বিচারকের সামনে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এবিষয়ে আইনজীবী মোঃ মনির হোসেন বলেন, ঢাকা সিএমএম ৩নং আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে চায়না কোম্পানি টাকা আত্মসাৎকারী আসামী সালাউদ্দিনের জামিনের বিরোধিতা করলে সেখানে আসামির পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেওয়া সমিতির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন স্যার এর সাথে থাকা তার সহযোগী জুনিয়র অ্যাডভোকেট রানা সরদার ও অ্যাডভোকেট শাকিলসহ কয়েকজন আমার গলার টাই টেনে আমার গলায় শ্বাসরোধ করে মারপিট করে এবং টেনে আদালতের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আদালতের হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিকভাবে আমি প্রাণে রক্ষা পাই।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য এডভোকেট মিজানুর রহমান মামুন ও রানা সরদারকে একুশে টেলিভিশনের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি।
/ডিএস/আআ/
আরও পড়ুন