আদ্দিস আবাবায় জাতীয় শোক দিবস পালিত
প্রকাশিত : ১৭:৪৯, ১৬ আগস্ট ২০২২
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস, আদ্দিস আবাবায় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূতাবাসে অনুষ্ঠিত উক্ত আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির অতিথিবৃন্দ, স্থানীয় ইথিওপীয় গন্যমান্যব্যক্তিবর্গ, ইথিওপীয় সাংবাদিক এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং তাদের পরিবারবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) ইথিওপীয়ার রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করণের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। দূতাবাসের উদ্যোগে শোক দিবস উপলক্ষে অত্র দূতাবাসের পক্ষ থেকে আদ্দিস আবাবায় একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআনুল কারিম ও ধর্মীয় বই বিতরণ করা হয়।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করেন। দিবসটি উপলক্ষে ইথিওপীয় ‘আদ্দিস টিভি’ রাষ্ট্রদূতের একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে।
অহরাহ্নে অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠ এবং দোয়ার মাধ্যমে সূচিত অনুষ্ঠানে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারবর্গ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের সকল শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত পৃথক পৃথক বাণী আগত অতিথিবৃন্দের উদ্দেশ্য পাঠ করে শোনানো হয়। অতঃপর শোক দিবস উপলক্ষে আগত দর্শক শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবনী ও কর্মের উপরে এক‘টি প্রামাণ্যচিত্র (ভিডিও) প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশি ও অত্র দূতাবাসে প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাসহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাপূর্ব ও সংগ্রাম চলাকালীন বঙ্গবন্ধুর জীবনের সুদীর্ঘ সময় কারাবন্দী থাকা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুর দৃঢ়তা, সীমাহীন ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতা তারা তুলে ধরেন। উক্ত জাতীয় শোকদিবস অনুষ্ঠানে মান্যবর রাষ্ট্রদূত মহোদয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য আগত অতিথিবৃন্দদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হলেও তার মূল্যবোধ, নীতি ও আদর্শ আরও শক্তিশালী হয়েছে। তার আদর্শ প্রোথিত রয়েছে বাংলার জনগণের হৃদয়ে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না যদিও আজকে বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র বিশ্বের। তিনি প্রবাসীদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সূচিত উন্নয়নের ধারায় সকলকে সম্পৃক্ত হতে আহবান জানান এবং বলেন যে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদশর্ন করা হবে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, অচিরেই বঙ্গবন্ধুর সকল হত্যাকারীকে আইনের আওতায় এনে এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান করা হবে। পরিশেষে আগত অতিথিদের জন্য ঐতিহ্যবাহী বাঙ্গালী ও ইথিওপীয় খাবারের আয়োজন করা হয়।
এসি
আরও পড়ুন