আন্দোলন সংগ্রামের অন্যতম কেন্দ্র ছিলো রংপুর (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৩৫, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে নানা আন্দোলন সংগ্রামের অন্যতম কেন্দ্র ছিলো রংপুর। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পৈশাচিক নির্যাতনে প্রাণ দিয়েছেন হাজারও মানুষ। শহীদদের আত্মত্যাগ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখতে গড়ে তোলা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ এবং ভাস্কর্য। এই সব স্থাপনা ইতিহাসকে নিয়ে যাবে প্রজন্মান্তরে।
১৯৭১ সালের ৩ মার্চ, রংপুরে বীর জনতার মিছিলে অবাঙ্গালী সরফরাজ খানের গুলিতে প্রথম শহীদ হন স্কুলছাত্র শংকু সমাজদার। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু এই হত্যার কথা উল্লেখ করেছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিরোধ আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে ২৯ মার্চ লাঠি ও তীর-ধনুক হাতে রংপুর ক্যান্টনম্যান্ট দখল করতে গিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর গুলিতে প্রাণ দিয়েছিল হাজারও মানুষ। তাদের মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নগরীর নিসবেতগঞ্জ এলাকায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয় স্মৃতিসৌধ- রক্ত গৌরব।
এছাড়া নগরীর প্রবেশ দ্বার মডার্ন মোড়ে ‘স্মৃতিসৌধ অর্জন’ এবং পায়রা চত্বরে ‘পায়রা’ স্থাপন করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে নানা বাধা উপেক্ষা করে নির্মিত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য।
স্থানীয়রা জানান, রংপুরের মুক্তিযুদ্ধের মানুষ, প্রগতিশীল মানুষ, দেশপ্রেমিক মানুষ এর প্রতিহত করে ওই সময়ে কারমাইকেল কলেজে ভাস্কর্য নির্মাণ করেছে। সারা বাংলাদেশে শেখ মুজিব মানেই বাংলার চেতনা, শেখ মুজিব মানেই স্বাধীনতা, শেখ মুজিব মানেই লাল-সবুজের পতাকা। যারা ৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে সেই সব চক্রান্তকারীরা এখন বিরোধিতা শুরু করেছে।
একাত্তরের যুদ্ধ দিনের স্মৃতি অম্লান থাকবে এইসব স্থাপনায়।
ভিডিও :
এএইচ/এসএ/