আবারও চরম দূষণে ঢাকার বায়ু (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:০৮, ১২ অক্টোবর ২০২০
নতুন স্বাভাবিক জীবনে প্রবেশ করে আবারও চরম দূষণে ঢাকার বায়ু। করোনা লকডাউনের আগে ৭০টি পয়েন্টের নমুনায় ছিলো মাত্রাতিরিক্ত দূষণ। লকডাউনের সময় দূষণ কমে ৬৬ শতাংশ। আবারও দূষণ বাড়ায় চিন্তিত গবেষকরা। এ অবস্থায় সুষ্ঠু পরিকল্পনার পাশাপাশি নির্ধারিত স্থানে কলকারখানা সরিয়ে নেয়ার পরামর্শ তাদের।
করোনা মহামারী শুরুর আগে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ছিলো শীর্ষ পাঁচে। তবে বেশিরভাগ সময়ই ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে।
শুধু বায়ুই নয় অন্যান্য দূষণের তালিকায় বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। বায়ু মানসূচক বিবেচনায় ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ঢাকার বায়ু তিন থেকে চার শতাংশ সময় ভালো ছিল।
মহামারি শুরুর পর লকডাউনের সময় পাল্টে যায় রাজধানীর চেহারা। সবুজপাতায় নির্মল বাতাসে প্রাণ ফিরে পায় ঢাকা।
নতুন স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় আবারও আগের অবস্থায় ফিরছে ঢাকা। মূলত: অপরিকল্পিত নগরায়ন, যানবাহন ও কারখানার কালো ধোঁয়া থেকেই অতিমাত্রায় বায়ূ দূষণ।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, করোনাকালের রেস্টিকশন যখন উঠে যেতে শুরু করলো তখন থেকেই বায়ুর মান আস্তে আস্তে খারাপ হতে শুরু করলো। এয়ার ইন্ডিক্সে আমরা ২শ’ ছাড়িয়ে গিয়েছি, ততে বোঝা যাচ্ছে আমাদের বায়ুর মান খারাপের দিকে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় রাজধানী থেকে কলকারখানা সরানোর পাশপাশি বিজ্ঞান সম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, কলকারখানা থেকে যে ধরনের দূষণ বের হবে সে দূষণগুলো মিনিমাইজ করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এটা যদি পানি হয় বা সলিট পদার্থ হয় অথবা কালো ধোঁয়া হয়- যেটাই হোক না কেন পলিউটারর্স পে মডেল। অর্থাৎ আপনি পলিউশন করলে সেই পলিউশনের মাত্রা অনুযায়ী আপনাকে ফাইন দিতে হবে।
নগরবাসীর জন্য আলাদা সাইকেল লেনেরও পরামর্শ তাদের।
এএইচ/এমবি
আরও পড়ুন