ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

আবাসিক এলাকায় উচ্চশব্দে গান বাজালে যে সাজা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৯, ৩ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৩৫, ১২ মার্চ ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

রাজধানীতে সম্প্রতি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে গান বাজানোর প্রতিবাদ করায় নাজমুল হক নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বর্তমানে উচ্চস্বরে গানের ঘটনা রাজধানীসহ সারাদেশে সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দেশের বিশিষ্টজনেরা বলছেন, সচেতনতার অভাবেই শব্দ দূষণ হচ্ছে। এ ব্যাপারে দেশের মধ্যে এখনও কেউ মুখ খোলেননি। কেউ মুখ না খুললেও উচ্চস্বরে গান বাজানোর প্রতিবাদ করায় নাজমুল হক নিহত হন।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর অধীনে ২০০৬ সালে দেশে শব্দ দূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এ বিধিমালার ৯ ধারায় উচ্চস্বরে গান বাজানোসহ বিভিন্ন ধরনের শব্দ দূষণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে।

বিধিমালায় উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে আবাসিক এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মানমাত্রা অতিক্রম  করতে পারবে না। এক্ষেত্রে আবাসিক এলাকায় দিনের বেলায় ৫৫ ডেসিবেল এবং রাতের বেলায় ৪৫ ডেসিবেলের বেশি অতিক্রম করতে পারবে না।

তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে কোনো খোলা বা আংশিক খোলা জায়গায় বিয়ে বা অন্য কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে গান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কনসার্ট, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক বা অন্য কোনো ধরনের সভা, মেলা, যাত্রাগানের অনুষ্ঠান করতে পারবেন।

এ জন্য আয়োজককারীকে অবশ্যই পুলিশ কমিশনার বা সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদন মঞ্জুর হলে রোজ ৫ ঘণ্টা শব্দের মানমাত্রা অতিক্রমকারী যন্ত্র  বাজানো যাবে। রাত ১০টার পরে তা আর বাজানো যাবে না।

এ আইনের ১৮ ধারায় বলা আছে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আবাসিক এলাকায় শব্দের মানমাত্রা অতিক্রমকারী যন্ত্র বাজালে বা আইন অমান্য করলে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং এক মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া পরে আবার একই ধরনের অপরাধ করলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৬ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

 

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি