আমদানি বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:৩৯, ২৮ অক্টোবর ২০২০
করোনার ধাক্কা সামলে অনেকটাই সচল হয়ে উঠেছে দেশের উৎপাদনমুখী শিল্প-কারখানা। ক্রমেই গতিশীল হচ্ছে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ড। বাড়ছে শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতির চাহিদা। আর এর ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে আমদানি বাণিজ্যে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ ভোক্তা-চাহিদা বাড়ার পাশাপাশি রপ্তানি-বাণিজ্য বেগবান হওয়ায় বাড়ছে আমদানি। একই মত অর্থনীতিবিদদেরও।
গত জুলাই-আগস্ট সময়ে আমদানির নতুন ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৭ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারের। আর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ঋণপত্রের স্থিতি ছিল ১৩ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জুলাই-আগস্ট সময়ে নতুন ঋণপত্র ও স্থিতি
নতুন ঋণপত্র ৭,৯৫৫.৭৯ মিলিয়ন ডলার
ঋণপত্রের স্থিতি ১৩,৮৬২.৯২ মিলিয়ন ডলার
আর অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণপত্র খোলা হয় শুধু গার্মেন্টস শিল্পের ফেব্রিকস ও উপকরণ আমদানিতে। আর ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের মূলধনী যন্ত্রপাতি, ৬৪ কোটি ডলারের তুলা ও সিনথেটিকস ফাইবার, ৬১ কোটি ডলারের শিল্পের মধ্যবর্তী কাঁচামাল-সহ জ্বালানি ও ভোজ্য তেল, ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, কেমিক্যালস, সিমেন্ট উৎপাদনের ক্লিংকার, গম ও শিশুখাদ্য-সহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানিও বেড়েছে এ সময়ে। ব্যবসায়ীদের আশা, আমদানি বাড়ায় রফতানি বাণিজ্য আরো গতিশীল হবে।
এদিকে, শিল্পের কাঁচামাল ও মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি বৃদ্ধির প্রবণতাকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত জুলাই-আগস্ট সময়ে দেশে ৮ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়। আগের বছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল প্রায় ৯ দশমিক ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ হিসাবে অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি কম হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
জুলাই-আগস্ট সময়ের আমদানির চিত্র
২০২০-২১ ৮ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার
২০১৯-২০ ৯ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার
এদিকে, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ১৫ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা আমদানি শুল্ক আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে যা প্রায় ৭ শতাংশ বেশি।
এসএ/
আরও পড়ুন