আর্থ্রাইটিস চিকিৎসায় কার্যকর মৌমাছির হুলের বিষ!
প্রকাশিত : ১৭:০২, ৪ অক্টোবর ২০২০
অস্টিও আর্থ্রাইটিস বা গেঁটে বাত সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যেই দেখা যায়। বর্তমানে গোটা বিশ্বের প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসা অবশ্যই রয়েছে, তবে তাতে এই রোগ সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা যায় না। তবে সম্প্রতি আর্থ্রাইটিস চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে মৌমাছি!
বিজ্ঞানীদের মতে, মৌমাছির বিষের সাহায্যে আর্থ্রাইটিসের দুর্ভোগ অনেকটাই কমিয়ে ফেলা সম্ভব। হয়তো সারিয়েও ফেলা যেতে পারে। আর এ নিয়েই চলছে গবেষণা।
‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিন’-এর গবেষকদের দাবি, মৌমাছির বিষ দিয়ে তৈরি ইনজেকশন আর্থ্রাইটিস সারিয়ে তুলতে পারে। আপাতত ইঁদুরের ওপর গবেষণায় চালিয়ে সাফল্য পেয়েছেন তারা। আর এই সাফল্যের পর এমনটাই বিশ্বাস মার্কিন গবেষকদের।
জার্নাল অব ইথনোফর্মাকোলজিতে প্রকাশিত হয় এই গবেষণাপত্র। প্রকাশিত এই গবেষণাপত্র অনুযায়ী, মৌমাছির বিষ থেকে সংগৃহীত ‘মেলিটটিন’ নামের পেপটাইড দিয়ে তারা ‘ন্যানো পার্টিকেলস’ বা অতি ক্ষুদ্র কণিকা তৈরি করেছেন। এই মেলিটটিনে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বেদনানাশক ক্ষমতা। মৌমাছি হুল ফোটানোর পর তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণার জন্য দায়ী এই মেলিটটিন।
গবেষকদের মতে, এই মেলিটটিনের সাহায্যে শরীরের তরুনাস্থিকেও ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। কোনও দুর্ঘটনায় হাড়ে চোট লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হলে সে সময় শরীরে যদি মেলিটটিন প্রয়োগ করা যায়, তবে বড় ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে।
এই মেলিটটিন থেকে তৈরি ন্যানো পার্টিকেলস ইনজেকশনের মাধ্যমে ইঁদুরের শরীরে প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকরা। এই ইনজেকশন তৈরিতে সহায়তা করেছেন ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিন’-এর অধ্যাপক স্যামুয়েল উইকলাইন।
তবে মানুষের শরীরে মেলিটটিন কতটা কার্যকর হবে, তার আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন মার্কিন গবেষকরা। তাদের আশা, দ্রুতই এ বিষয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন। সূত্র: জি নিউজ
এএইচ/এসি