ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

আলু রোপণে ব্যস্ত উত্তর অঞ্চলের কৃষকরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:২৩, ২ অক্টোবর ২০১৮

বর্তমান সরকারের কৃষি বিপ্লবে উত্তরের মঙ্গা আজ অতীত। অভাব-অনটন থাকার আর কোনো কারণ নেই। ফসল উৎপাদনে কৃষক এখন বেশ সফল বলা যায়। কার্তিক মাস শুরু হওয়ার এখনও ১৩ দিনের মতো বাকি। ইতোমধ্যে আগাম ধান কাটা শুরু হয়েছে। আর শুরু হয়েছে আগাম আলু চাষ। উত্তর অঞ্চলের প্রায় সব কয়টি জেলায় দেখা যাচ্ছে কৃষকদের এ ধরনের কাজে ব্যস্ত থাকতে। বিশেষ করে রংপুর বিভাগের আট জেলায় এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

এক দিকে চলছে ধান চাষ। আবার ওই জমিতে চলছে আলুর বিজ রোপণ। গত বছরের ভালো ফলন তাদের আগ্রহ বাড়িয়েছে। ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বাজারে আসবে এই আলু। ফসলের মাঠে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের বসে থাকার সময় নেই কৃষি শ্রমিকদেরও পোয়া বারো। তাই আগাম জাতের আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জের কৃষকরা। আগাম আলু আবাদে লাভ হওয়ায় কৃষকরা কোমড় বেঁধে নেমে পড়েছেন। উপজেলার উঁচু ও ডাঙ্গা সব জমিতেই বর্তমানে আলু চাষের কাজ চলছে। কেউ জমি তৈরি করছেন, কেউবা শ্রমিক নিয়ে খেতে আলু লাগাচ্ছেন।

গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষককের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা এখন আগাম আলু চাষে ব্যস্ত। কারণ এই আগাম আলু চাষ করলে আগেই বাজারে ছাড়া যায়। এতে ভালো মূল্য পাওয়া যায়।

তারপুর ইউনিয়নের কৃষক রহমান পাঠান জানান, বিঘা প্রতি জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণে খরচ হচ্ছে ১০ হাজার টাকা। বিঘায় আলু উৎপাদন হবে প্রায় আড়াই হাজার কেজি। আগাম আবাদে আগাম বাজার ধরতে পারলে আলুর কেজি বিক্রি হবে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। এতে বিঘা প্রতি আলু বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে লাভ পাওয়া যাবে প্রায় ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। তাছাড়া ৫০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আলু জমি থেকে তোলা যায় বলে এ আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেশি।

বাজারে যার আলু যত আগে উঠবে, তার লাভ তত বেশি। জানালেন গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলার উত্তর কাটাখালী গ্রামের আলু চাষী রহমান শেখ। গতবার তিনি ৮ বিঘা জমিতে আগাম আলু আবাদ করে দ্বিগুণ লাখের মুখ দেখেছেন। এবার ১২ বিঘা জমিতে আলু বুনছেন। তিনি জানান আবহাওয়া অনুকূল, বীজের দাম কম। প্রয়োজনীয় সারের সরবরাহও স্বাভাবিক। সব মিলে ফসল উৎপাদনে আমরা কৃষককুল দিন দিন দ্রুতযানের মতো এগিয়ে যাচ্ছি।

এখন উত্তর অঞ্চলের প্রায় কয়টি জেলা, উপজেলা এই আগাম আলু চাষ করা হচ্ছে। অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভ হওয়ায় এ ফসলের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। ফলে মঙ্গাও পালিয়েছে। এখন আর না খেয়ে থাকতে হয় না এসব এলাকার মানুষকে। মোটামোটা সবার পরিবারে স্বচ্ছলতা এসেছে এ ধরনের চাষাবাদের কারণে।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি