আশা জাগিয়ে রাখল টাইগাররা
প্রকাশিত : ১৯:৫৬, ১৭ মে ২০১৭
বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও টসের সময় ডাবলিনের আকাশে ঝকঝকে রোদই ছিল।তাই টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। তবে নিউজিল্যান্ডের সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েক ঘণ্টা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে করে ২৫৭ রান। রানরেট কাঙ্খিত না হলেও দর্শকরা বোলারদের চমক দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন। বোলাররা নিজেদের উজার করে দিতে পারলে ২৫৭ রানের ঘরেই নিউজিল্যান্ডকে বেঁধে রাখতে পারে বাংলাদেশ। এমন আশায় বুক বেঁধে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীরা।
শুরু থেকে রানে ধীর গতি থাকলেও ৪৬তম ওভারে এসে প্রথমবারের মতো রান রেট ৫-এ উন্নীত হয়। এতে বড় অবদান ছিল মাহমুদউল্লাহ-মোসাদ্দেক হোসেনের।
বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল-সৌম্য সরকার। অবিচ্ছিন্ন ওপেনিং জুটিতে এসেছে ১১ ওভারে ৫২ রান।
এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ফিরেছেন দলে। তবে একাদশের বাইরে তাসকিন আহমেদ।
শুরু থেকেই রানে কাঙ্ক্ষিত গতি দিতে পারেননি টাইগাররা। ৪০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ১৯০/৫। তবে শেষ ১০ ওভারে চিত্র কিছুটা পাল্টে যায়।
ইনিংসের শুরু থেকে দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিমের পর তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে অর্ধশতক করে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ। শেষের দিকে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় হ্যামিশ বেনেটের শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে তুলে দেন আকাশে।
৫৬ বলে ৬টি চারে ৫১ রান করে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেওয়ার পর মোসাদ্দেকের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
টাইগারদের চাপ বাড়ে সাকিবের বিদায়ের পর থেকে। ইশ সোধিকে পরপর দুই বলে সুইপ করেন সাকিব আল হাসান। শর্ট ফাইন লেগে দুবারই ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন রস টেইলর। পরের বলে নতুন শট খেলতে গেলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, এবার মিডঅফে ক্যাচ গেল জেমস নিশামের হাতে। ১৪ বলে একটি চারে ৬ রান করে ফিরেন সাকিব। তার বিদায়ের সময় দলের স্কোর ছিল ১৩২/৪।
এদিকে আরও একবার সুযোগ হারালেন সৌম্য সরকার। থিতু হয়েও বড় করতে পারলেন না নিজের ইনিংস। চমৎকার ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক পাওয়ার পর ফিরলেন ষাটের ঘরে গিয়েই। লেগ স্পিনার ইশ সোধিকে সুইপ করতে গিয়ে টাইমিং হয়নি, ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে যাওয়া ক্যাচ মুঠোয় জমান অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ৬৭ বলে ৬১ রান করতে পাঁচটি চার হাঁকান সৌম্য। তখন ২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১৮/৩।
শূন্যর পর সাব্বিরের ১। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শূন্য রানে ফেরা সাব্বির রহমান ব্যর্থ নিজের দ্বিতীয় ইনিংসেও। বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের স্কিড করা বল পিছিয়ে গিয়ে খেলতে গিয়ে পারেননি। ব্যাট ফাঁকি দিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। আর এই ১ রান করতে চার বল খেলেন সাব্বির। তার বিদায়ের সময় দলের স্কোর ছিল ৭৯/২।
জেমস নিশামের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলটি মারারই ছিল। টাইমিংয়ে গড়বড় করে যেখানে পাঠাতে চেয়েছিলেন ততদূর পর্যন্ত নিতে পারেননি তামিম ইকবাল। কাভার সীমানায় সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন কলিন মানরো।
৪২ বলে তিনটি চারে ২৩ রান করে ফিরেন তামিম। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ভাঙে ৭২ রানের উদ্বোধনী জুটি। সেই ওভারের শেষ বলে এক রান নিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছান সৌম্য। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের পঞ্চাশ আসে ৫৩ বলে, চারটি চারে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : নির্ধারিত ৫০ ওভারে টাইগাররা করে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান।
তামিম ইকবাল ২৩ রান, সাব্বির রহমান ১, সৌম্য সরকার ৬১, সাকিব আল হাসান ৬, মুশফিকুর রহিম ৫৫, মাহমুদুল্লাহ ৫১, মোসাদ্দেক হোসেন ৪১ ও মাশরাফি বিন মর্তুজা ১।