আশুলিয়ায় বাবাকে হত্যার পর লাশ দাফনের সময় মেয়ে আটক
প্রকাশিত : ১৮:৩৭, ১৭ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৮:৩৭, ১৭ আগস্ট ২০১৯
ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যাকরে লাশ কৌশলে গ্রামের বাড়িতে দাফন করতে গিয়ে আটক হয়েছেন মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার সদর উপজেলায় বুড়িরচর গ্রামে। নিহত শহীদ খান সদর উপজেলার বুড়িরচর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
শহীদের স্ত্রী রুবী বেগম বলেন, আশুলিয়ার ইউসুফ মার্কেট এলাকায় হানিফ মিয়ার ভাড়া বাসায় স্বামী শহীদ খানকে নিয়ে বসবাস করতেন। সেখানে তার স্বামী দিনমজুরের কাজ করতেন।
গত ১৪ আগস্ট বুধবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাবা-মেয়ের মাঝে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মেয়ে ধারালো বঁটি দিয়ে বাবার মাথায় কোপ দেয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান শহীদ। ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে বাড়ির মালিক হানিফ মিয়া অ্যাম্বুলেন্স যোগে থানা পুলিশকে অবহিত না করেই গোপনে নিহতের গ্রামের বাড়ি বরগুনায় লাশটি পাঠিয়ে দেন।
গ্রামের স্বজনরা শহীদের মাথায় কোপের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হলে থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শহীদের স্ত্রী রুবী, মেয়ে ও মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেন।
মুঠোফোনে বরগুনা সদর থানার ওসি আবির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শহিদের মাথায় কাটা দাগ রয়েছে। পুলিশ তিনজনকে আটক করলেও রুবীকে ছেড়ে দিয়ে মেয়ে ও মহিউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের আটকে রেখেছে বলে জানান। তবে শহিদের মেয়ে বাবাকে কোপানোর অভিযোগ পুলিশের নিকট অস্বীকার করেছেন।
নিহতের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের নিকট সোপর্দ করেছে বলে পুলিশ জানান। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বুড়িরচর গ্রামে দাফন করা হয়েছে। ঘটনাটি আশুলিয়া থানাকেও অবহিত করা হবে বলে জানান বরগুনা থানার ওসি।
এদিকে আশুলিয়া থানাধীন ইউসুফ মার্কেট এলাকার বাড়ির মালিক হানিফ মিয়ার সাথে সাংবাদিক পরিচয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এনএম
আরও পড়ুন