ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

আষাঢ়ে আমন ধানের যত্ন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:২৩, ২২ জুন ২০২০ | আপডেট: ০০:২৪, ২২ জুন ২০২০

মানুষ, প্রকৃতি সবই যখন গ্রীষ্মের তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে তখন ধরণীকে শান্ত, শীতল করতে আমাদের মাঝে চলে আসে বর্ষা। নতুন পানির জোয়ারে  খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুর, ডোবা ধীরে ধীরে ভরে ওঠে। বাতাসে ভাসতে থাকে কদমফুলের মনোহরি সুঘ্রাণ, কদমফুলের সুঘ্রান শোভা মাতিয়ে মন ভালো করে দেয় প্রতিটি বাঙালির। শুধু কদম নয় সব গাছপালা ধুয়ে মুছে সবুজ হয়ে উঠে, এমন দিনে কী কী কাজ করা যায় কৃষকের মনে দোলা দেয়। বর্ষার তন্ময়তার পর্দা সরিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে জেনে নেই, এমন সময়ে কৃষকের কি কি করণীয়:

এখনই আমন ধানের বীজতলা তৈরির সময়। উঁচু খোলা জমিতে বীজতলা তৈরি করতে হবে যা পানিতে ডুবে না। বীজতলায় বপনের জন্য ভালো জাতের সুস্থ সবল বীজ নির্বাচন করতে হবে। রোপা আমনের উন্নত জাতগুলো হলো বিআর১০, বিআর২৫, ব্রি ধান৩০, ব্রি ধান৩১, ব্রি ধান৩২, ব্রি ধান৩৩, ব্রি ধান৩৪, ব্রি ধান৩৭, ব্রি ধান৩৮, ব্রি ধান৩৯, ব্রি ধান৪০, ব্রি ধান৪১। 

এছাড়া যেখানের জমি লবণাক্ত তারা ব্রি ধান৪৪ চাষ করতে পারেন। উপরে উল্লেখিত এসব মানসম্মত বীজ যদি আপনার কাছে না থাকে, তাহলে বিএডিসির বীজ বিক্রয় কেন্দ্র, বিশ্বস্ত ডিলার বা অভিজ্ঞ চাষি ভাইদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ভালো চারা পেতে হলে অবশ্যই প্রতি বর্গমিটার বীজতলার জন্য ২ কেজি গোবর, ১০ গ্রাম ইউরিয়া এবং ১০ গ্রাম জিপসাম সার প্রয়োগ করতে হবে। রোপা আমন ধানের চারা আষাঢ় মাসেই রোপণ শুরু করা যায়। অধিক ফলন পেতে হলে শেষ চাষের সময় হেক্টর প্রতি ৯০ কেজি টিএসপি, ৭০ কেজি এমওপি, ১১ কেজি দস্তা এবং ৬০ কেজি জিপসাম দিতে হবে। জমিতে চারা সারি করে রোপণ করতে হবে। এতে ধানক্ষেতের পরবর্তী পরিচর্যা বিশেষ করে আগাছা দমন সহজ হবে।সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস)

এসইউএ/এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি