আসছে শীত, আপনি কি প্রস্তুত?
প্রকাশিত : ১৯:২৪, ৩০ অক্টোবর ২০১৭

শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। এই সময় আবহাওয়া আগের চেয়ে অনেকটা বদলে যায়। তার প্রভার পরে শরীরের উপর। এই সময়ে ঠোঁট ফাটা, হাত-পায়ে চামড়া উঠা এবং এলার্জি জাতীয় নানান সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ সময়ে সাবধানতা অবলম্বর করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের এ আয়োজনে এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যা এই শীতে আমাদরে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
শরীর ঢেকে রাখুন
কম তাপমাত্রার সংস্পর্শে এলে শরীরে ভাইরাস ও ছত্রাক জাতীয় জীবের বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়। ফলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাধাপ্রাপ্ত হয়। তাই শীতকালে যতটা সম্ভব শরীর ঢেকে রাখা ভালো।
সবজি ও ফল খান
এ সময়ে মৌসুমি ফল ও সবজি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শরীর সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ফল ও সবজি অত্যন্ত প্রয়োজন। শীতের নানা ধরনের সবজি, যেমন: গাজর, বিট, টমেটো ত্বকের জন্য ভালো। তাই প্রতিদিন তাজা ফলমূল ও সালাদ খান।
পানি পান করুন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ শরীর সজীব ও সতেজ রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা দরকার। এই শীতে ত্বক তো বটেই, সারা শরীরে সুস্থতার জন্যই পানির কোনো বিকল্প নেই। তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা দরকার।
ঠোঁটের যত্নে করণীয়
ঠোঁট মুখের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। ঠোঁটের ত্বক শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেক গুণ বেশি নাজুক ও কোমল হয়ে থাকে। বিশেষ করে শীতের সময়ে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। তাই এই শীতকালে ঠোঁটের যত্নে জেলি ব্যবহার করুন। মধু, লেবুর রস ও গ্লিসারিন একসাথে মিক্স করে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। প্রতিদিন ব্যবহার করার মাধ্যমে ঠোঁটের রং ও নমনীয়তা বজায় রাখেতে পারবেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান
বিশেষ করে শীতকালে খাবার বেশ মজাদার হয়। একইসঙ্গে খাওয়াটাকে উপভোগ করা যায়। ফলে এইসময়ে শাক-সবজি ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন ও সুস্থ থাকুন।
পায়ের যত্ন
শীতকালে পা ফাটার সমস্যা সবচেয়ে বড় আকার ধারণ করে। এই সমস্যা এড়াতে রাতে পা ভালো করে ধুয়ে গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে লাগান। তবে পায়ে বেশি সাবান লাগাবেন না। সকালে গোসলের পর ভেজা পায়ে ক্রিম লাগিয়ে মোজা পরে নিন।
হাল্কা গরম পানিতে গোসল
পুরো ঠান্ডা বা প্রচণ্ড গরম পানিতে গোসল না করে শীতকালে পানির ঠান্ডাভাব কাটিয়ে গোসল করুন। এতে শরীরের প্রাকৃতিক তেল বজায় থাকাসহ শরীর সুস্থ থাকবে।
এম/ডব্লিউএন