আয়কর রিটার্ন জমা দিলেন অর্থমন্ত্রী, সম্পদ বেড়েছে
প্রকাশিত : ২২:১৯, ২৬ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ২০:০৩, ২৭ নভেম্বর ২০১৮
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছেন। সোমবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী অনলাইনে ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করে সাংবাদিকদের কাছে সম্পদের হিসাব তুলে ধরেন। আগের তুলনায় তার সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে।
অর্থমন্ত্রী তার সম্পদের হিসাব তুলে ধরে বলেন, ‘১০ বছর আগে আমি যখন মন্ত্রী হই তখন আমার অ্যাসেট ছিল এক কোটি ১৪ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬ টাকা, আর আজকে মানে গত ৩০ জুন, এটা হয়েছে ২ কোটি ২৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৭ টাকা। ইয়েস, এক কোটি ১৩ লাখ টাকা, যত ছিল ঠিক ততটাই বেড়ে গেছে এ ১০ বছরে।’
তিনি বলেন, ‘১০ বছরের টোটাল ইনকাম সেটাও আছে, ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৩ কোটি ৬৮ লাখ ২৯ হাজার ৬৫০ টাকা, আর এতে অ্যাসেটস ইনক্রিজ হয়েছে এক কোটি ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৬১ টাকা। এক্সপেনডিচার আছে। দিস ইজ মাই সিচুয়েশন।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এই বছরের হিসাবটা দেই, ২০১৭-১৮ ইনকাম ইয়ার, ট্যাক্স ২০১৮-১৯। টোটালি ইনকাম ১৭ লাখ ৯৭ হাজার ৩৪৮ টাকা। ট্যাক্সঅ্যাবল (করযোগ্য) ইনকাম, নন ট্যাক্সঅ্যাবল ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ টাকা, টোটাল ইনকাম ৩৪ লাখ ২৮ হাজার ৩৪১ টাকা।’
তিনি বলেন, ‘এখন দিচ্ছি টোটাল ট্যাক্স দুই লাখ ২৭ হাজার ৯২১ টাকা, এর মধ্যে এক লাখ ৫৪ হাজার ৪০০ টাকা দেয়া হয়ে গেছে, আজকের চেকটা হচ্ছে ৬২ হাজার ৪৭৮ টাকার।’
আবদুল মুহিত বলেন, ‘আমার ট্যাক্স রিটার্ন খুব কম। কারণ, হলো আমার ইনভেস্টমেন্ট আছে, সেখান থেকে যথেষ্ট লেস ট্যাক্স দেই। ওয়েজ অর্নার বন্ড থেকে পাই ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৭৮ টাকা, সরকারের কাছে থেকে অ্যালাউন্স ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৫৮০ পাই, পেনশনে থেকে এক লাখ ২৫ হাজার ৩৪২ টাকা, ইউএস ডলার বন্ড থেকে এক লাখ ৫৮ হাজার ১৭০ টাকা, এরপর আছে ডিভিডেন্ট ইনকাম ১৬ হাজার ৯২৩ টাকা। টোটাল ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৩ টাকা হলো নন ট্যাক্সঅ্যাবল।’
কর দেয়ার বিষয়ে মানুষের ধারণা পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৭ বা ২০০৮ সালে ট্যাক্স অফিসারকে মানুষ পছন্দ করতো না। এ ধারণায় ড্রাম্যাটিক চেঞ্জ হয়েছে। এখন তারা মনে করেন একটি সেবা দিচ্ছে এবং খুশি হয়ে দেশের জন্য কিছু দিচ্ছে।’
এ সময় সেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কর প্রশাসন ও মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা) জিয়াউদ্দিন মাহমুদ, কর অঞ্চল-৮ এর কর কমিশনার সেলিম আফজালসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এসি
আরও পড়ুন